করোনাভাইরাস: টিকার প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ
করোনাভাইরাস ঠেকাতে টিকার প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হল যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনে সিয়াটলের একটি গবেষণাগারে চারজনের শরীরে এই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এলার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস সোমবার মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরুর তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএন বলছে, ৪৫ জন স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কের ওপর ছয় সপ্তাহ সময় নিয়ে এই পরীক্ষা চালানো হবে। প্রত্যেকের শরীরে দুটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এই টিকা দেওয়া হবে, দ্বিতীয় ইঞ্জেকশনটি দেওয়া হবে ২৮ দিন পর।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষামূলক এই প্রয়োগ সফল হলেও সাধারণ মানুষের জন্য তা বাজারে আসতে ১৮ মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
সিয়াটলের দুই সন্তানের জননী ৪৩ বছরের এক নারীকে প্রথম এই টিকা দেওয়া হয়েছে।
“এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ,” বলেছেন জেনিফার হলার নামের ওই নারী।
নভেল করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও জোর চেষ্টা চলছে।
মানুষের ওপর প্রথম এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে টিকাটি প্রাণিদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে কি না সে বিষয়ে নজর রাখা হবে।
এই টিকা আবিষ্কারের পেছনে রয়েছে যে বায়োটেকনোলোজি কোম্পানি, মডার্না থেরাপিউটিকস বলছে, পরীক্ষিত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এটি তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানির মতো বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩৫টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান নভেল করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।