ডেস্ক নিউজ: পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের নিতাই পালের ছেলে আনন্দ পালের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামের পুতুল পালের মেয়ে চন্দনা পালের সাথে বিয়ে হয় ১০ বছর আগে।
তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বেশ ভালই কাটছিল তাদের সংসার। তবে করোনা তাদের সাংসারিক জীবনে অভিশাপ বয়ে আনে। লকডাউনের সময় কাজ হারিয়ে জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হন আনন্দ।
এ নিয়ে চন্দনা ও আনন্দের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়ে। ঝগড়া বিবাদের মাত্রা বেড়ে গেলে চন্দনাকে আখাউড়ায় তার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আজ শুক্রবার ১৯ মার্চ দুপুর ১২ টার সময় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ীর গায়ে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান আনন্দ পাল (৩৮)। এতে এসিডদগ্ধ হয় শ্বাশুড়ি পুতুল রাণী পাল (৫০) ও তার মেয়ে চন্দনা রাণী পাল (৩০)। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।
চন্দনার দুলাভাই অজিত পাল জানান, শুক্রবার সকালে আনন্দ শ্বশুরবাড়ি এসে চন্দনাকে বাড়ি যেতে চাপ দেন। তখন চন্দনা জানান ঋণশোধ করার পর বাড়ি যাবেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে আনন্দ তার কাপড়ের ব্যাগে করে লুকিয়ে আনা অ্যাসিড চন্দনার গায়ে ছুড়ে মারেন।
চন্দনার চিৎকারে মা ঘটনাস্থলে এলে তার গায়েও অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন আনন্দ। এতে চন্দনার গাল ও পিঠ এবং মায়ের গলার নিচের অংশ দগ্ধ হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ভাটামাথা গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরএস/এমআই