আগ্রাবাদে হাশেম খুন: মূল আসামিসহ গ্রেফতার ১০
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় মোটরসাইকেল র্যালিতে রিকশা যাত্রীর সাথে কথাকাটাকাটির জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে নগরীর ডবলমুরিং থানায়।
বুধবার রাতে নিহত সাউন্ড সিস্টেম মেকানিক হাশেম খান বাবুলের স্ত্রী জরিনা বেগম এবং মহসীন নামে অপর এক যুবকের মা মাফিয়া বেগম বাদী হয়ে আলাদাভাবে মামলা দুটি দায়ের করেন।
হাশেমকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী জরিনা বেগমের দায়ের করা হত্যা মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
তাছাড়া যাকে মারধরের মাধ্যমে সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই মহসীনের মা মাফিয়া বেগমের দায়ের করা করা মারধরের মামলায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, পৃথক ২ মামলায় এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক সোহাগ (২২)সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত হাশেম খানের স্ত্রীর দায়ের করা হত্যা মামলায় ৮ জন এবং অপর মামলায় আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাসুদ (৪১), সোহাগ (২৮), মহসিন (৩০), সাহাব উদ্দিন (২৬), আলী আকবর (৬০), মাসুদ রানা (২৮), মো. হেমায়েত ওরফে অপু (২৫) ও ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। অপর মামলায় গ্রেফতার হয় ফরিদ উদ্দিন সুমন (৩২) ও শামসুল হক (৩২)।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাশেম খুনের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
তিনি বলেন, আগ্রাবাদ এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) ভবনের সামনের সড়কের উপর সাউন্ড বক্স বাজিয়ে মোটর সাইকেল ও বাই সাইকেল নিয়ে স্ট্যান্ড শো (মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে কসরত) করার সময় দুইপক্ষের সংঘর্ষে খুনের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে ওই এলাকার আশেপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ৮ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওইদিন রাতেই সিঅ্যান্ডবি কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূল ঘাতক মো. সোহাগকে এবং বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদ নামে আরো একজনসহ দুই মামলায় মোট ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটিও উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে পর্যালোচনা করে এবং গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতার করা হবে।
আরএস/এমআই