chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শুভ জন্মদিন হে জাতির পিতা

ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার ছোট্ট একটি গ্রাম-টুঙ্গিপাড়া। সেই গ্রামের সেবাপরায়ন এক সন্তান শেখ মুজিবুর রহমান যাকে সবাই ‘খোকা’ বলে ডাকতো ন্যায্য দাবি আদায়ে সেই খোকা ছোটবেলা থেকেই একগুয়েমি স্বভাবের।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, তিনি ৯ম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক ও তৎকালিন খাদ্যমন্ত্রী হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী টুঙ্গিপাড়ার স্কুল পরিদর্শনে গেলে শেখ মুজিব তাদের সামনে সংকোচবোধ করেন নি এবং তার স্কুলের প্রায় ধ্বসে পড়া ছাদ সংস্কারের জোর দাবী জানান। তার সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে এবং দাবীর বাস্তবিকতা যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে ১২০০ টাকা মঞ্জুর করা হয়।

এরপর ৪৮ সালে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” গঠন,৪৯ সালে “বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিমলীগ” গঠন,৫২ এর ভাষা আন্দোলন,৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন,৫৫সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জিবিত হয়ে “আওয়ামি মুসলিম লীগ” কে “আওয়ামীলীগ”-এ রুপান্তর,৫৮ সালে আইয়্যুব হটাও আন্দোলন,৬২সালে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বিরোধি আন্দোলন,৬৬তে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা,৬৯ এর গণঅভ্যুথান,৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ ও সর্বোপরি ৭১ সালের ৭মার্চ সেই যাদুকরি ও ঐতিহাসিক ভাষণ দ্বারা নিরস্ত্র বাঙালিকে স্বাধীনতা আদায়ে সশস্ত্রবাহিনীতে পরিণত করেন। ২৫শে মার্চের মধ্যরাতে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালিকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিতে তিনি ছিলেন বাঙালির অদ্বিতীয়,চৌকস ও দূরদর্শী নেতা।

তার ২৪ বছরের রাজনৈতিক জীবণের প্রায় অর্ধেক,অর্থাৎ ১২ বছরই কাটিয়েছেন জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। দেশ,মা,মাটি ও স্বাধীনতার জন্য নিজের তারুণ্য ও যৌবন বিলিয়ে দেওয়া এরূপ ত্যাগি নেতা ইতিহাসে বিরল। আজ ১৭মার্চ,এ বিপ্লবি নেতার জন্মদিন বাংলাদেশের স্থপতি,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,কালজয়ী এ নেতার প্রতি রইল জন্মদিনের প্রাণঢালা আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।