chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শাশুড়ি ও যমজ নাতিকে পুত্রবধূর হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের লামা উপজেলায় শারীরিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করায় পুত্রবধূ কর্তৃক শাশুড়ি ও তার এক বছর বয়সী দুই যমজ নাতিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শাশুড়ি জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে পুত্রবধূসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ার বাঁশখালী ঝিরির বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩০), মজু মাঝির ছেলে মো. নাছির (৫০), আবুল কাশেমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৫), মো. নাছিরের মেয়ে লাকী আক্তার (১৮), জোবাইর উদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) ও জসিম উদ্দিনের স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩৩)।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শাশুড়ি কিংবা স্বামীর অনুমতি না নিয়ে মো. নাছির নামের এক ব্যক্তির সাথে ঘর থেকে বের হয়ে যায় পুত্রবধূ পারভীন আক্তার। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মো. নাছিরের সাথেই আবার তিনি ঘরে ফিরেন।

এ সময় ‘দুই যমজ শিশু সন্তানকে রেখে কোথায় গিয়েছিলে’ এমন কথা জানতে চাইলে শাশুড়িকে গাল মন্দসহ মারমুখী আচরণ শুরু করে পুত্রবধূ পারভীন আক্তার। প্রতিবাদ করলে শাশুড়ির ওপর হামলা চালায় পুত্রবধূ পারভীন আক্তার ও মো. নাছির।

এমনকি কাটার প্লাস দ্বারা শাশুড়ির বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে চাপ দিয়ে মারাত্মক জখম করে তারা। শুধু তাই নয়, ওই সময় তারা শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা চেষ্টার পাশাপাশি বসতঘরে ভাংচুর চালিয়ে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও জমির মূল্যবান কাগজপত্র নিয়ে যায় বলে ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ৩ মার্চ শাশুড়ি জান্নাতুল ফেরদৌস বাদী হয়ে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ০১৮১০৫৭৫২০২ মোবাইল নম্বর থেকে জন্নাতুল ফেরদৌসকে ফোন করে বলা হয়, ‘আমি লামা থানার এস আই মোরশেদ, তোমার দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নাও, তুমি তোমার ভাইকে নিয়ে লামা থানায় আস।

পরে একই নম্বর থেকে জান্নাতুল ফেরদৌসের ছেলে মো. জসিম উদ্দিনের মোবাইল ফোনেও হুমকি দিয়ে কথা বলেন। ফোনে বলেন ‘তোর মায়ের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বল, অন্যথায় তোর দুইটি যমজ ছেলে সন্তানকে হত্যা করে মাটি চাপা দিব’।

পরে সন্তানদেরকে হত্যা করেছিস বলে তোকে হত্যা মামলায় ফাঁসাইয়া দিবো কিংবা মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসাবো। এক পর্যায়ে জান্নাতুল ফেরদৌস হুমকির শিকার হয়ে গত ৯ মার্চ আদালতে সাধারণ ডায়েরী করেন।

এদিকে মো. নাছির বলেন, জন্নাতুল ফেরদৌসের অভিযোগ সত্য নয়। সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এডভোকেট নুরুর আবচার বলেন, মো. নাছির ও পুত্রবধূ পারভীন আক্তার কর্তৃক শাশুড়ি জন্নাতুল ফেরদৌসসহ তার দুই যমজ নাতিকে হত্যার হুমকির বিষয়ে আদালতে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর