chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ইসলাম গ্রহণের পর অন্যরকম শান্তি অনুভব করি: ইউসুফ

খেলা ডেস্ক: জন্মের পর প্রায় ৩১ বছর ছিলেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী, তার নাম ছিল ইউসুফ ইউহানা। পাকিস্তানের হয়ে মাতিয়েছেন ক্রিকেট মাঠ। নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

ওয়ালিস মাথিয়াস, আনতাও ডি সুজা এবং ডানকান শার্পের পর চতুর্থ খ্রিষ্টান ক্রিকেটার হিসেবে পাকিস্তানের হয়ে খেলেন ইউসুফ। ২০০৪ সালে পাকিস্তানের প্রথম অমুসলিম অধিনায়কও হন তিনি।

তবে ২০০৫ সালের জুনে খ্রিষ্টান ধর্ম ছেড়ে ইসলামের পথে আসেন তখনকার ৩১ বছর বয়সী ইউসুফ। নিজের নাম বদলে করেন মোহাম্মদ ইউসুফ এবং স্ত্রী তানিয়ার নাম বদলে রাখেন ফাতিমা।

খ্রিষ্টধর্ম ছেড়ে মুসলিম হওয়ার পর খেলা ২০০৬ সালে খেলা প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে ১৯৯ বলে ১৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংসের দেখা পেয়েছিলেন ইউসুফ। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। সে বছর টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন মোট ৯টি। যেখানে ছিল হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরির রেকর্ডও।

সাফল্যমণ্ডিত এই ২০০৬ সালকে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে আসা বিশেষ উপহার হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউসুফ। সম্প্রতি উইসডেনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ধর্মান্তরিত হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন তিনি। যেখানে উঠে আসে তার ইসলাম গ্রহণের পেছনের ঘটনাও।

ইউসুফ বলেছেন, ‘ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে কেউ আমাকে জোর করেনি। এখানে সত্যটা হলো, আমি সাঈদ আনোয়ারের খুব কাছের বন্ধু ছিলাম। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমাদের দারুণ বন্ধুত্ব ছিল এবং কিশোর বয়স থেকেই আমরা একসঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমি সাঈদের সঙ্গে এত সময় কাটিয়েছি যে ওর বাবা-মা আমাকে তাদেরই ছেলে মনে করত।’

‘আমি যখন ওদের বাড়িতে যেতাম, দেখতে পেতাম তারা কী সুন্দর শান্তিপূর্ণ এবং শৃঙ্খলার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। এটা আমাকে সত্যিই ভাবিয়েছে। সাঈফ আনোয়ার ধর্মপ্রাণ হওয়ার আগে থেকেই আমি ওকে দেখছি। তারপর ওর মেয়ের মৃত্যুর পর ও পুরোপুরি ধর্মের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। যা আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা ছিল এবং এটাই আমার ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণ।’

ইউসুফের ভাষ্য, ‘২০০৬ সালে আমি অনুশীলন বা ট্রেনিংয়ে বিশেষ কিছু করিনি। ২০০৫ সালের শেষদিকে আমি মুসলিম হয়ে যাই এবং প্রথমবারের মতো নামাজ আদায় করি। এরপর আমি দাঁড়ি রাখা শুরু করি এবং নিজের মধ্যে অন্যরকম শান্তি অনুভব করি। যা আমার রাস্তায় আসা সকল চ্যালেঞ্জ জিততে অনুপ্রাণিত করে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার কাছে সবসময় মনে হয়েছে, ২০০৬ সালের অসাধারণ পারফরম্যান্স আল্লাহ্‌র কাছ থেকে বিশেষ উপহার ছিল, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায়। আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের বছরের পর বছর ধরে টিকে থাকা রেকর্ডটি ভাঙতে পারব।’

‘কিন্তু আমি যেহেতু শান্ত এবং স্থির ছিলাম এবং মানসিক দিক থেকে নিজের সেরা অবস্থায় ছিলাম, তাই আমার মনে হয়েছে কোনোকিছুই আমাকে থামাতে পারবে না।’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর