মহামারির বছরেও কিডনি রোগে মারা গেছে ২৮ হাজার মানুষ!
ডেস্ক নিউজ: আজ ১১ মার্চ, বিশ্ব কিডনি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন হচ্ছে। কিডনি দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘কিডনি রোগে সুস্থ থাকুন’।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। এই কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে এক ভয়ানক তথ্য ওঠে এসেছে। করোনাকালের বছরটিতে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে কিডনি রোগে মারা যাওয়ার সংখ্যা। বছরটিতে এ রোগে মারা গেছে প্রায় ২৮ হাজার মানুষ। যা ২০১৯ সালে ছিল ১০ হাজার ৬০০ মানুষ। তাই বলা যায় দিন দিন বাড়ছে এ রোগের আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। এখনই হতে হবে সচেতন।
কিডনি রোগের সাধারণ লক্ষণ:
.শরীর যদি ফুলে যায়, আর সেই ফোলাটা যদি শুরু হয় মুখমন্ডল থেকে।
.প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলোনায় কমে গেলে।
.প্রস্রাব যদি লাল হয় বা রক্ত যায়।
.কোমড়ের দুই পাশে যদি ব্যথা হয়। এই ব্যথা তলপেটেও হতে পারে।
.উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে।
করণীয়:
.পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে
.লবণ কম খেতে হবে
অতিরিক্ত প্রাণিজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
.রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখার চেষ্টা করতে হবে
.ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
.ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে
.কোমল পানীয় ত্যাগ করতে হবে
ধূমপান ও মদপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে
.নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে
নচ/চখ