chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পটিয়ার ছনহরায় ৬ দিনে ৬ গরু চুরি, দিশেহারা কৃষক-খামারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় গরু চুরি আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের একটি মাত্র ওয়ার্ডেই গত ৬ দিনে পৃথক দুটি ঘটনায় ৩ ব্যাক্তির ৬টি গরু চুরি করেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষুদ্র, মধ্যবিত্ত খামারিদের মধ্যে গরু চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের ভুমিকা নীরব বলেই মন্তব্য করছে অসহায় খামারিরা।

তারা জানায়, থানায় অভিযোগ দিলেও চুরি থামানো যাচ্ছে না। কৃষকরা চুরি ঠেকাতে গোয়াল পাহারা দিচ্ছেন। গরু চুরির ভয়ে অনেক ক্ষুদ্র খামারিরা গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।

জানা যায়, উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড দরিদ্র তিন কৃষকের ছয়টি গরু চুরি করেছে সংঘবদ্ধ চুরের দল। এঘটনায় মনির আহমদ ও আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে পটিয়া থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ে করেছে।

অভিযোগ সুএে জানা যায়, গত রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল মনির আহমদের গোয়ালঘর থেকে একটি এবং তার ভাই রাজা মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে ২টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

এর মাত্র ৬ দিন আগেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কৃষক আবদুর রাজ্জাক এর গোয়ালঘর থেকেও তিনটি গরু চুরি হয়। এসব বিষয়ে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।

তারা জানিয়েছে চুরি যাওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ টাকার চেয়েও বেশি হবে। গরু চুরির ঘটনায় ৩ কৃষকই বর্তমানে চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

ভুক্তভোগীদের দাবি একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র পরিকল্পিতভাবে রাতের আঁধারে একের পর এক গরু চুরি করছে। চুরি ঠেকাতে প্রশাসন একটু উদ্দ্যেগ গ্রহণ করলে তাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দেন ছনহরা ইউনিয়নের ১ নং ইউপি সদস্য জায়দুল হক।

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, গরু চুরির ঘটনায় পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। চোর চক্রটি শনাক্ত করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আশা করেন খুব শিগগিরই চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর