chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আইন-কানুনের শেষ চিহ্নটুকুও বিলীন হয়ে গেছে: ফখরুল

ডেস্ক নিউজ: আইন-কানুনের শেষ চিহ্নটুকুও এখন বিলীন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন দূরে থাক, আইন-কানুনের শেষ চিহ্নটুকুও এখন বিলীন হয়ে গেছে।’

আজ রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র এখন সম্পূর্ণরুপে মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা কেবল বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরাই মারা যাচ্ছে না, ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নিজেরাই একে অন্যকে হত্যা করছে।

‘সত্য সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়ে সাংবাদিকদেরও জীবন-প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া হচ্ছে, কিংবা তাদেরকে চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরে আসছিলেন। এ সময় আওয়ামী দুর্বৃত্তদের হামলা প্রমাণ করে রাষ্ট্রক্ষমতা যারা পরিচালনা করছেন তারা সন্ত্রাসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত।

‘জেলায় জেলায় তারা রাজনৈতিক দল গঠন করেননি, বরং সন্ত্রাসীদের দিয়ে গ্যাং তৈরি করে বিরোধী দলের ওপর হামলা চালাকে উৎসাহ দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, আজকের এই মহান দিবসে বগুড়া বিএনপির প্রভাত ফেরিতে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা একমাত্র মাফিয়া রাষ্ট্রেই সম্ভব। আমি এই সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপরই নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে দুর্নীতি, লুটপাট ও দখলে তাদের পাপের বোঝা এখন এতো বেশি হয়ে গেছে যে, নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।

‘গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সংঘটিত আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতার সমর্থকদের মধ্যে নারকীয় সংঘর্ষ সেটারই পৈশাচিক বহিঃপ্রকাশ।’

ফখরুল বলেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন মুজাক্কির সেই নির্মমতার শিকার হলেন। এখন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা এতই সহিংস বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তারা গোটা দেশটাকেই নিজেদের সম্পত্তি ভাবছে।

‘সার্বিক অবস্থাদৃষ্টে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, রক্তের হোলি খেলাই যেন তাদের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। দেশে-বিদেশে তাদের সীমাহীন কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার পরও তাদের টনক নড়েনি।’

তিনি বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন মুজাক্কিরের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে মুজাক্কিরকে গুলি করে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর