ডেস্ক নিউজ: প্রতিবছরই রমজানকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু সিন্ডিকেট অহেতুক দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চসিকের সদ্য বিদায়ী প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।
আজ বুধবার উত্তর কাট্টলীর বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের নীতি নির্ধারণী সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুজন বলেন, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে তাদের সে অপতৎপরতা এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে।
‘প্রতিবছর রমজানকে ঘিরে সরকার দ্রব্যমূল্যের দাম জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দাসংস্থা দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বিভিন্ন কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখে।’
সুজন বলেন, তাই সেই সময় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানোর ঝুঁকি না নিয়ে এখন থেকেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানোর অসাধু তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে ঐ সিন্ডিকেট। যাতে রমজানকে কেন্দ্র করে তাদের অসাধু তৎপরতাগুলো লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়।
‘আমরা নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে এ ধরনের সব অসাধু তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে ঐসব সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা রোধ করার জন্য এখন থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সেই সঙ্গে রমজানের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী এখন থেকে সরকারের পর্যাপ্ত মজুদ রাখার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দাদের জায়গাজমি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কলকারখানাসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য হুকুম দখল করে নিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, হুকুম দখল করা জায়গা যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলে হুকুম দখল করা হয়েছিল সেসব প্রকল্প অদ্যাবদি বাস্তবায়ন করা হয়নি। বছরের পর বছর হুকুম দখল করা জায়গা অব্যবহৃত পড়ে আছে।
‘ফলত এ সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি বিভিন্ন প্রভাবশালীমহল নামে বেনামে লুটেপুটে খাচ্ছে। এ সব জায়গাগুলি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনেও পাওয়া যায় না।’
তাই হুকুম দখল করা জায়গাগুলো যে কারণে হুকুম দখল করা হয়েছিল সে কারণে ব্যবহার করা না হলে হুকুম দখলকৃত মূল্যে ঐসব জায়গাগুলি নিজ নিজ মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ারও সবিনয় আহ্বান জানান সুজন।
এ ছাড়া সভায় বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানে আগামী মার্চে একটি কনভেনশন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এমআই/চখ