বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবালো ক্যারিবীয়রা
খেলা ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারলেও দ্বিতীয় টেস্টে প্রতিশোধ নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এমন প্রত্যাশা ছিল টাইগার ভক্তদের। কিন্তু ঢাকা টেস্টে উল্টো ১৭ রানে হেরে বসে আছে বাংলাদেশ।
এই হারে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ হলো মুমিনুল হক সৌরভের দল। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরেছিল স্বাগতিকরা।
২০১২ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়নি না টাইগাররা। সর্বশেষ ২০১২ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। নয় বছর পর সেই দলটির বিপক্ষেই আরেকটি ধবলধোলাইয়ের লজ্জ্বাই পড়তে হলো তামিম-মুশফিক-মুমিনুলদের।
শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ অবশ্য রোমাঞ্চ জমিয়ে তুলেছিলেন। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাঈম হাসান ফিরে গেলে টি-টোয়েন্টি খেলতে শুরু করে দিলেন মিরাজ। কিছু করারও ছিল না, দশম ব্যাটসম্যান আবু জায়ের রাহি কতক্ষণ উইকেটে থাকবে তা নিয়ে শঙ্কা। ফলে দ্রুত রান তোলার একটা ঝুঁকি নিতে চাইলেন মিরাজ।
দশম উইকেটে মিরাজ-জায়েদ যখন ব্যাট করছিলেন বাংলাদেশের রানও তখন খুব বেশি লাগত না। একটা সময় সমীকরণ দাঁড়াল ১৮ রান করলেই বাংলাদেশ জয়ী। মিরাজ তখন ৩৬ রান করে অপরাজিত। জোমেল ওয়ারিকানের দারুণ এক টার্নে সেখানেই পরাস্ত হলেন তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার। ২১৩ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিংই করেছে। বিশেষ করে মধ্যাহ্ন বিরতির পর। মাত্র ২৯ বলের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩১।
চতুর্থ ইনিংসে অতীতে এতো রান করে কখনোই জিতেনি বাংলাদেশ। তবুও ম্যাচ জিতে সমতা নিয়ে সিরিজ শেষ করার স্বপ্ন দেখছিলেন অনেকে।
বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। চতুর্থ দিনের কঠিন উইকেট ও ক্যারিবীয় স্পিনারদের বিষধর সব টার্ন উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। ১০.৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান পূর্ণ হয় বাংলাদেশের।
সেখানে তামিম একাই করেছেন ৩৬। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৫০ রান করে ফিরেছেন তামিম। তার ইনিংসে চার ৯টি। তামিম দলীয় ৭০ রানে ফেরার পর বাকিরা সেট হয়েও বড় ইনিংস না খেলার আক্ষেপে পুড়িয়েছেন।
এমআই/চখ