পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের শীতের পোশাক পরিয়ে দিলেন ইউএনও
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাকালে আমরা অনেক সম্মুখযোদ্ধার কথা শুনেছি। যারা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন করোনাকালে, নিজের কাজটা করে গেছেন অন্যকে ভালো রাখতে।
তাদের কথা অনেকেই বলেছেন, বাহবা দিয়েছেন সবখানে। গণমাধ্যমেও তাদের কথা উঠে এসেছে বার বার।
আমার দৃষ্টিতে আরও একটা গ্রুপ আছেন যারা করোনাকালে নীরবে কাজ করে গেছেন, ভাবেননি আক্রান্ত হবার কথা কিংবা পরিবার পরিজনদের কথা।
যারা একটি দিনের জন্যও কাজ বন্ধ রাখেননি, যারা লক ডাউনে ঘরে বন্দি ছিলেন না। তারা হচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী শব্দ দ্বারা ঠিক বুঝানো যাবে না তাদের কাজের মাত্রা। সহজ করে বললে যারা ডাস্টবিনের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পরিষ্কার করে শহরকে বসবাস উপযোগী রাখেন।
তারা বৈশ্বিক মহামারির কালে হাটহাজারী পৌরসভার ডাস্টবিনের ময়লা পরিষ্কার করে পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন রেখেছেন ১৭ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
করোনাকালে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে গেছেন, প্রতিদিন চারটা গাড়িতে করে গড়ে প্রায় ২০ টন দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা সংগ্রহ করে ময়লার ভাগাড়ে ফেলেছেন এরা। আমার দৃষ্টিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও করোনাকালের সম্মুখযোদ্ধা।
এভাবেই পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রশংসা করলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, এদের জন্য কিছু করার সুযোগ হচ্ছিল না, এই শীতে শীত নিবারণে অনেকেরই নেই ভালো একটা সোয়েটার।
পরে পৌরসভায় কর্মরত ১৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে একটা করে কোট (ব্লেজার) নিজ হাতে পরিয়ে দেন তিনি।
গত শনিবার উপজেলা মিলনায়তনে তাদের এ কোট পরিয়ে দেওয়া হয়।
তাদের উদ্দেশ্যে ইউএনও রুহুল আমিন আরো বলেন, স্যালুট! হে ফ্রন্ট লাইনার্স, আপনারা জেনে রাখবেন আপনাদের কাজ আর সকল কাজের মতই সম্মানের এবং গুরুত্বপূর্ণ।
আরএস/এমআই