chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জয়ের জন্য আর ৭ উইকেট দরকার টাইগারদের

খেলা ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার পয়েন্টের সুবাস পাচ্ছে টাইগাররা। ম্যাচের শেষদিন আর ৭ উইকেট নিলেই পৌঁছে যাবে জয়ের বন্দরে।

শেষদিনে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচ জিততে আরও ২৮৫ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুল হকের টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির সঙ্গে লিটন দাসের ৬৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেটে ২২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের। জবাবে মেহেদি মিরাজের ৩ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে।

দ্বিতীয় সেশনের প্রায় ৪০ মিনিট বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় ৩০ মিনিটে। সেই ত্রিশ মিনিটে খেলা ৭ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা, রান করে ১৮। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের বিপক্ষে খুব একটা স্বচ্ছন্দেও খেলতে পারেননি ক্রেইগ ব্রাথওয়েট, জন ক্যাম্পবেলরা।

মিরাজের বিপক্ষে সুইপে সফল হওয়ায় বারবার একই শট খেলতে থাকেন ক্যাম্পবেল। এতে নিজের বিপদই ডেকে আনেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

ইনিংসের ১৩তম ওভারে মিরাজের বলে অল্পের জন্য লেগ বিফোরের হাত থেকে বেঁচে চান ক্যাম্পবেল। পরের ওভারে তাইজুলের বোলিংয়ে প্যাডল সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটনের হাতে। বাংলাদেশ দলের ফিল্ডাররা আবেদন করলেও, সাড়া দেননি আম্পায়ার। সংশয় থাকায় রিভিউ নেননি তাইজুল-মুমিনুলরা। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগেছিল সেই বলটি।

পরপর দুই ওভারে দুইবার বাঁচলেও, তা কাজে লাগাতে পারেননি ক্যাম্পবেল। ১৭তম ওভারে নিজের পঞ্চম ওভার করতে এসে প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদ সাজিয়ে ক্যাম্পবেলের বিদায়ঘণ্টা বাজান মিরাজ। এ দফায় রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি ক্যারিবীয় ওপেনার, সাজঘরে ফিরে যান ৫০ বলে ২৩ রান করে।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে ১৭ ওভার লাগলেও, আরেক ওপেনারকে ফেরাতে একদমই সময় নেননি মিরাজ। নিজের পরের ওভারটি করতে এসে ক্যারিবীয় অধিনায়ককে ফেরান চলতি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলতে থাকা এ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। অবশ্য এ উইকেটে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ইয়াসির রাব্বির অবদানও অনেক বেশি। ব্রাথওয়েটের ব্যাট-প্যাডে লেগে আসা বলটি দারুণ ক্ষিপ্রতায় বাম হাতে ধরে ফেলেন রাব্বি। আগের ইনিংসে ৭৬ করা ব্রাথওয়েট এবার থামেন ২০ রানে।

মিরাজ যখন একপ্রান্ত থেকে আক্রমণাত্মক বোলিং করছিলেন, তখন অন্যপ্রান্তে তেমন চাপ সৃষ্টি করতে পারেননি আরেক অফস্পিনার নাঈম হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের তাইজুলের বলেও হয়নি তেমন বিশেষ কিছু। অবশ্য মিরাজের বলেও ওভারপ্রতি তিনের বেশি করেই রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে বাংলাদেশ দলের তেমন ক্ষতি হয়নি। কেননা ইনিংসের তৃতীয় উইকেটও নেন মিরাজ।

অভিষিক্ত শেন মোজলির কপাল খারাপই বলতে হবে। প্রথম ইনিংসে তিনি আউট হন মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে। আর এবার মিরাজের বেশ নিচু হয়ে আসা ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ২ চারের মারে ১২ রান করা মোজলি। মিরাজের এই ঘূর্ণিতে বিনা উইকেটে ৩৯ থেকে ৫৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তবে দিনের শেষভাগে আর বিপদ ঘটতে দেননি আরেক অভিষিক্ত কাইল মায়ারস ও এনক্রুমাহ বোনার। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা খেলে ফেলেছেন ১৫.৪ ওভার, স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৫১ রান। দিন শেষে বোনার ১৫ ও মায়ারস ৩৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর