chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

আজ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুজন বলেন, প্রডাক্টিভ পোর্টের জন্য গতিশীল শহর দরকার। পোর্ট ডিউস থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে চসিককে। তাহলে ৭-৮শ’ কোটি টাকা আয় হবে চসিকের। কাস্টম হাউসের রাজস্ব থেকে ১ শতাংশ দিতে হবে চসিককে। ল্যান্ডর অব অরজিনকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ছেলে যেটা আয় করে তাকে মাছের মাথা খাওয়ায়।

‌’চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে। ইপিজেডের ময়লা পরিষ্কার করবো, শ্রমিকদের আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করবো। আপনার ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। একেকটি কারখানা চসিককে বছরে ২ হাজার ডলার দিতে পারে৷ দরকার হলে আইন করা হোক। রড ফ্যাক্টরির ইয়ার্ড কি শহরের রাস্তাঘাট?’

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংগঠনের জন্য যেমন প্রস্তুত তেমনি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক কাজের জন্য প্রস্তুত। অনেকবার সংসদ সদস্য ও মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। বিবেচিত হইনি। ছয় মাস সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারি দিতে চেষ্টা করেছি। সিটি করপোরেশন আমার জন্য নতুন কিছু নয়। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ১৭ বছর কাছাকাছি ছিলাম। উনাকে দেখে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

‘আমার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পিসি রোড, যেটি খালের ভিতর ছিল। এখানে অর্থের অভাব ছিল না। দুইজন ঠিকাদার ছিল অদক্ষ, এরমধ্যে একজন জিকে শামিমের পার্টনার। আমি কুমিল্লা থেকে আনালাম। বললাম, কাজ শেষ না করে ফিরতে পারবে না। তার অনেক পাওনাদার ছিল।’

তিনি আরও বলেন, মানুষের কষ্ট আমি দেখেছি, দুঃসহ অবস্থা। সড়কের পূর্ব অংশ কমপ্লিট করেছি। ছয় মাস যুদ্ধ করেছি। এলাকার অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি, অনেকের গালমন্দ শুনেছি। গণমাধ্যমের সহযোগিতা আমার চিরকাল মনে থাকবে।

‘রাস্তাঘাট পরোটা নয়, ধুম করে বানিয়ে খেয়ে ফেলা যাবে। স্ট্যান্ড রোডের কাজ ৪০ ভাগ শেষ হয়েছে। করোনায় ঠিকাদার মারা যাওয়ায় কাজে ধীরগতি হয়ে পড়েছিল। চসিক তদারকি করলে মার্চের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী হবে আশা করি।’

সুজন বলেন, চসিকের সম্পত্তি পাবলিক প্রপার্টি। দিনের ১২টায়ও অনেকে অফিসে আসে না। আমি সোয়া ৯টায় গেট বন্ধ করে দিয়েছি তিন দিন। চসিকে দক্ষ জনবলের অভাব। নিয়োগের নিয়ম বালাই নেই। দক্ষ জনবল চসিকের বড় সম্পদ। পৌরসভা চসিক হয়েছে। মানসিকতা পৌরসভার।

‘পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। সবসময় কাজে নেই, হাজিরা আছে। কিছু ভিক্ষুককে সাবেক মেয়র মনজুর আলম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সময় এ ধরনের চাকরি দিয়েছিলেন। এক মাস পর থেকে তারা ভিক্ষা নিতে শুরু করে।’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর