chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আবরার হত্যা মামলা

বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ-সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ অনুযায়ী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলাটি এখন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এ স্থানান্তরিত হবে।

আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবার আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ মামলাটি জরুরি বিবেচনা করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবার আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ মামলাটি জরুরি বিবেচনা করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত বছরের ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলিট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২৫ জনের মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

আবরার হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামি এরইমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন-নাজমুস সাদাত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও মনিরুজ্জামান মনির। বাকিরা পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না মোশতুবা রাফি এবং এস এম মাহমুদ সেতু।

এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন জিসান, তানিম, মোরশেদ, মোশতুবা রাফি।

এই বিভাগের আরও খবর