সব তথ্য নগরপিতার কাছে তুলে ধরবেন: শিক্ষা উপমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিকরা জনপ্রতিনিধিদের তথ্যভাণ্ডার উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘আপনাদের কাছে আহ্বান রাখব, সব তথ্য জনপ্রতিনিধির কাছে, আমাদের নগরপিতার কাছে তুলে ধরবেন। তিনিও এটা দেখে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।’
আজ (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
নওফেল সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, এ শহরের একজন নাগরিক হিসেবে শুধু বলতে চাই, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বা অন্যান্য সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো স্থায়ী।
‘আমরা যারা রাজনীতি করি বা আমরা যারা সাধারণ নাগরিক আমরা সেখানে নাগরিক সেবা পাই অথবা সেখানে নেতৃত্বে যাই। আমরাও সেখানে অস্থায়ী সবাই।’
তিনি বলেন, আমরা যখন এ প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো ধরনের সমালোচনা, আলোচনা, সংবাদ দেখব একজন এ প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধি হিসেবে, নেতা হিসেবে আমাদের নবনির্বাচিত মেয়রের কাছে আমি আহ্বান রাখব, আমি মনে করি গণমাধ্যমেরও সেটা আহ্বান হবে- প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা যেন আমরা মনে না করি ব্যক্তির সমালোচনা।
সংবাদমাধ্যম থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উপকার পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রতিদিন সংবাদপত্রে অনেক নেতিবাচক সমালোচনামূলক সংবাদ শুনি। এটা আমাদের কাজের জন্য অনেক বেশি সহায়ক শক্তি। কারণ সেগুলো আমরা মার্ক করে করে ব্যবস্থা নিতে পারি। কারণ আমাদের সরকারের এত সক্ষমতা নেই যে সব তথ্য আমরা পাব।
‘কোথায় গ্রামবাংলার কোন জায়গায় কোন বিদ্যালয়ে কী হচ্ছে আপনাদের মাধ্যমে, সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই। অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের ভাণ্ডার হচ্ছেন সাংবাদিকবৃন্দ। তাই আপনাদের কাছে আহ্বান রাখব, সব তথ্য জনপ্রতিনিধির কাছে, আমাদের নগরপিতার কাছে তুলে ধরবেন। তিনিও এটা দেখে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।’
‘কারণ আমরা দেখি যখন জনপ্রতিনিধিরা অন্ধকারে থাকবেন, যখন সাংবাদিকবৃন্দ তথ্য তুলে ধরতে পারেন না, বা তুলে ধরেন না বা সমালোচনা করেন না তখন সেই প্রতিষ্ঠানটি কিন্তু নির্জীব হয়ে যায়। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কিন্তু স্থায়ী। কিন্তু মাননীয় মেয়র অস্থায়ী। পাঁচ বছর থাকবেন, তারপর তিনি চলে যাবেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি জনগণের অর্থে, জনগণের রাজস্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রত্যেক কর্মকর্তা, কর্মচারীর জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য সংবাদ মাধ্যম যাতে সহযোগিতা করে। আপনারা যখন তথ্য তুলে ধরবেন তারা কাজ করতে বাধ্য হবেন।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, তথ্যের মাধ্যমে মাননীয় মেয়র তাদের জবাবদিহির মধ্যে আনবেন- আপনি কেন কাজটি করলেন না। তাই সৎ সাহস নিয়ে সমাজের দর্পন হিসেবে তুলে ধরবেন। তুলে না ধরলে সেই প্রতিষ্ঠানটি নির্জীব হয়ে যাবে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাননীয় মেয়র বা কাউন্সিলরবৃন্দ সেটাকে জীবিত করতে পারবেন না।
‘যদি তাদের মধ্যে সেই শঙ্কা, জবাবদিহির চিন্তাটা না থাকে। মাননীয় মেয়র মহোদয়ও তেমনিভাবে লালন করবেন, প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা মানে ব্যক্তির সমালোচনা নয়। প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে তুলে ধরা।’
সব ক্ষেত্রে সমন্বয় করার জন্য সহযোগিতা করতে চান উল্লেখ করে নওফেল বলেন, সব মন্ত্রী, সংসদ সদস্য মহোদয় যারা আছেন তারা মহান জাতীয় সংসদে যখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য, চট্টগ্রামবাসীর জন্য কথা বলবেন সেটি আপনার জন্য সহযোগিতা হবে। এ সহযোগিতা আমরা সবসময় করতে চেয়েছি।
‘আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। এ প্রতিযোগিতা যাতে হয় মানুষের সেবা নিশ্চিত করার প্রতিযোগিতা। আমি একটা কাজ করে সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করব।’
এমআই/চখ