chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

এইচএসসির ফল চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ করার নিয়ম

ডেস্ক নিউজ : করোনারকালে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের আগের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার নাম্বার থেকে মূল্যায়নের মাধ্যমে ঘোষিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিভিউয়ের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ডিজিটালি ফল প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণার উদ্বোধন করেন।

তবে, শিক্ষার্থীদের আগের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার নাম্বার থেকে মূল্যায়নের মাধ্যমে ঘোষিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে রিভিউয়ের আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে। নোটিশে বলা হয়, শুধু টেলিটকের প্রিপেইড মোবাইল থেকে ফল রিভিউয়ের আবেদন করা যাবে। ম্যানুয়ালি কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

এতে বলা হয়, রিভিউ আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে REV লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে পিন নম্বর দেওয়া হবে।

এরপর মেসেজ অপশনে গিয়ে REV লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য যে কোনো অপারেটরের মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ১২৫ টাকা করে ফি নেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।

পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ করা এইচএসসির ফলাফলে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবার ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন; যা ২০১৯ সালের তুলনায় তিনগুণ বেশি। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার ২৮৬ জন এবং তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। শতকরা হিসেবে ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট পরীক্ষার্থীর ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ২০১৯ সালে যা ছিল মোট পরীক্ষার্থীর ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এছাড়া, ২০১৯ সালে মোট পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ২০১৮ সালে ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এর আগে, ১৯৭১ সালে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হয়েছিল। এবার করোনাকালে সেই একই পথে হাঁটল সরকার।

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর