আজ তৃতীয় দফায় ভাসানচরে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা
ডেস্ক নিউজ: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তৃতীয় দফায় কমপক্ষে তিন হাজার নারী-পুরুষ নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, উখিয়া উপজেলার বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ছয়টি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির থেকে ২০৪ পরিবারের ৮৫৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক তাদের ২০টি বাসে ওইসব শিবির থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় বিকাল থেকে। সেখানে রোহিঙ্গারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় আছেন।
জানা গেছে, ভাসানচরের উদ্দেশে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে রোহিঙ্গারা বৃহস্পতিবার সকালে যাত্রা করবে। প্রথমে তাদের চট্টগ্রামে রাখা হবে। শুক্রবার সকালে তাদের নৌ বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম থেকে নৌ পথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। এই সপ্তাহে আরও ২ থেকে ৩ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এই হিসাব ২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪১ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৪০৬টি পরিবারকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশে কাজ করছে প্রায় ১৮০টি দেশি-বিদেশি এনজিও। এর মধ্যে নানা কারণে কয়েকটি এনজিওর কার্যক্রম রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছে।
এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে গিয়েছে ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের নতুন ক্যাম্পে নেওয়া হলো।
নচ/চখ