chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চসিক ভোটের উত্তাপ সংসদে

ডেস্ক নিউজ : বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের শুরুতেই উত্তাপ ছড়িয়েছে জাতীয় সংসদেও। বুধবার সংসদে আইন প্রণয়নের আলোচনায় উঠে আসে নির্বাচন প্রসঙ্গ।

বুধবার ভোট গ্রহণ চলাকালে সংসদে বিল পাসের সময় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ প্রসঙ্গ তুললে আইনমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা তার জবাব দেন।

‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন)- ২০২১’ সংসদে পাসের সময় জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তোলেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রশাসন চালাবেন। কিন্তু আজ কী হচ্ছে? নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে। প্রহসন হচ্ছে।

পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অন্য সদস্যদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার পর বলেন, আমরা এখানে যারা আছি গতকালকে জন্ম নেইনি। উনারা নির্বাচনের কথা বলছেন। আমরা জিয়াউর রহমানের সময় ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দেখেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেখেছি।

ব্যালটবাক্স পাওয়া যেত না। ভোট যে দেবে ব্যালট বাক্স নেই। যাদের এই চরিত্র তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু করতে হয় সেটা শেখার প্রয়োজন নেই। জনগণকে ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।

পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ভোট দেয় প্রশাসন। আর দেখে জনগণ। ভোটটা সুষ্ঠু করে করলেইতো হয়। কারও থেকে ভোট শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে দিতে হয় সেটা সবাই জানে। ভোটটা দিতে দিলেই হয়। হারুনের কথার জবাবে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, তার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচন ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু’ হয়েছে।

পীর ফজলু বলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বিএনপির বিদ্রোহী জয়ী হয়েছে।
জাপার শামীম হায়তার পাটোয়ারী বলেন, ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে আমার পৌরসভায়। লাঙ্গল জয়ী হয়েছে। সবাই মিলে চাইলে ভোট সুষ্ঠু হবে।

পরে সংশোধনী প্রস্তাব তোলার সময় হারুনুর রশীদ বলেন, এখনই দেখেন চট্টগ্রামে বহু কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যামকর্মীদের পাস দেওয়া হচ্ছে না। চাইলে এখনই ফোনে দেখাতে পারি।

সংশোধনী প্রস্তাবের জবাব দিতে উঠে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে কখন,কোথায় ভোট হত জানতাম না। ভোট হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি কী নির্বাচন হয়েছিল? কতজন ভোট পেয়ে জিতেছিল।

চখ

এই বিভাগের আরও খবর