chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হেসেখেলেই সিরিজ জিতল টাইগাররা

খেলা ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি হেসেখেলেই জিতল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জয়লাভের পর আজ আরও সহজ জয় পায় টাইগাররা।

দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৪৮। জবাবে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফিফটির সুবাদে ৩ উইকেট হারিয়ে, ৭ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাস। দৃষ্টিনন্দন কিছু বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনি সাজঘরে ফিরে যান ষষ্ঠ ওভারে। আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে করেন ২২ রান।

আরও একবার হতাশ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ১৭ রান। তিনি জেসন মোহাম্মদের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন জর্ন ওটলের হাতে।

একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন অধিনায়ক তামিম। দলকে ১০০ রান পার করিয়ে আউট হন তিনি। তার আগেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৮তম ওয়ানডে ফিফটি। তবে এরপর আর টিকতে পারেননি। তিন চার ও এক ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ৭৫ বলে ৫০ রান করেন তামিম।

সাকিব অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে। মুশফিকুর রহীমের (৯) সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সাকিব।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুনিল অ্যামব্রিস আউট হন মোস্তাফিজের বোলিংয়ে। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা বলটি সহজেই তালুবন্দী করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অ্যামব্রিস করতে পেরেছেন ১৫ বলে ৬ রান।

দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর অভিষিক্ত জর্ন ওটলেকে নিয়ে প্রতিরোধের আভাস দেন জশুয়া ডা সিলভা। দুজন মিলে যোগ করেন ২৬ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারে হাসান মাহমুদকে অসাধারণ এক পুল শটে ছক্কা হাঁকান ওটলে। তবে স্পিন আসতেই ভাঙে জশুয়া-ওটলের প্রতিরোধ। এক ওভারেই দুজনকে ফেরান মিরাজ।

দশম ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে নিজের তৃতীয় ওভারে জোড়া সাফল্যের দেখা পান অফস্পিনার মিরাজ। ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে শর্ট মিডঅফে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ৪৪ বলে ২৪ রান করা অভিষিক্ত ওটলে। একই ওভারের চতুর্থ বলে ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে সোজা বোল্ড হয়ে যান জশুয়া, তার ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৫ রান।

নিজের প্রথম ওভারের শেষ বলে আন্দ্রে ম্যাকার্থিকে আর্মারে বোকা বানান সাকিব। স্লগ করতে গিয়ে সোজা বোল্ড হন ৭ বলে ৩ রান করা ম্যাকার্থি। আগের ম্যাচে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা মায়ারস এবার ফেরেন শূন্য রানে রান আউট হয়ে।

মাত্র ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ষষ্ঠ উইকেটে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি গড়েন জেসন মোহাম্মদ ও এনক্রুমাহ বোনার। সাকিবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন ১১ রান করা ক্যারিবীয় অধিনায়ক।

এর পরের ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা পান আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া হাসান মাহমুদ। তার নিচু হওয়া ডেলিভারিতে বোল্ড হন ইতিবাচক খেলে ২৫ বলে ২০ রান করা বোনার, মাত্র ৭১ রানে ঘটে উইন্ডিজের সপ্তম উইকেটের পতন।

ইনিংসের ৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে ২ রান করা রেইফারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। আম্পায়ার আউট দেননি সেটি, রিভিউ নিয়ে উইকেট পায় বাংলাদেশ।

দলীয় নব্বইয়ের আগেই অষ্টম উইকেট হারানোর পর পাল্টা আক্রমণ করেন রভম্যান পাওয়েল ও আলঝারি জোসেফ। দুই স্পিনার মেহেদি মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তারা। তাদের জুটিতে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ রান। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে আলঝারিকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। শর্ট গালিতে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন ২১ বলে ১৭ রান করা আলঝারি।

এগিয়ে এসে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান ৬৬ বলে ৪১ রান করা পাওয়েল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামে ১৪৮ রানে।

৯.৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মিরাজ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট গেছে সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজের ঝুলিতে।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর