প্রিয় মানুষকে খুশি রাখতে সবসময় অর্থের দরকার নেই
ডেস্ক নিউজ: একটি সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ও সুখী জীবন নির্ভর করে সঙ্গীকে খুশি রাখার উপর। সঙ্গী আপনার সাথে খুশি রয়েছেন কিনা সম্পর্ক ধরে রাখতে তা অনেক বেশি জরুরি। মনে রাখবেন মানুষের খুশি থাকা একটি মানসিক অনুভূতি। তাই সঙ্গীকে খুশি করতে, সুখী রাখতে আপনাকে যে সব সময় অনেক টাকা খরচ করতে হবে তা নয়। ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেও আপনি আপনার সঙ্গীকে খুশি রাখতে পারেন। আপনার কাজের মধ্যেই যদি তিনি নিজের খুশি খুঁজে নিতে পারেন তাহলে আপনার খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। অনেক কিছুই পেয়ে যাবেন নিমিষেই।
যা করতে হবে
১। পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার চেষ্টা করুন, মনে যা আসে তা-ই মুখ ফসকে বলে ফেলবেন না। ফলাফল কী হতে পারে তা বুঝে কথা বলুন।
২। নীরবতা যে একটি ভাষা সেটা জেনে রাখুন। অনেক সময় কথা বলার চেয়ে নীরব থাকায় বেশি প্রভাব তৈরি হয়
৩। পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগীতাপূর্ণ মানসিকতা পরিহার করুন, এটা ক্ষতিকর যা নিজের স্বার্থ ভেবে কাজ করতে প্ররোচিত করে। উদার হতে না পারলে সুখী হওয়া অসম্ভব।
৪। “আমি কী পেলাম বা কী পাচ্ছি তার কাছ থেকে”, এই ভাবনা থেকে বের হয়ে একটু ভাবুন “আমি তাকে কী দিলাম বা দিতে পারছি”।
৫। কখনো মান-অভিমান বা মনমালিন্য হলে চুপ থাকার চেষ্টা করুন, নিজেদের সুখের সময়ের কথাগুলো ভাবুন, তার অবদানের কথাগুলো স্মরণ করুন। এমন সময় অকৃতজ্ঞের মত বেফাঁস কথা বলে ফেলার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই খুব কম কথা বলুন বা চুপ থাকুন।
৬। যদি আপনার দ্বারা ভুল হয়ে যায়, ভুল স্বীকার করে নিন, সরি বলুন। ঘাবড়াবেন না, মানুষের ভুল হতেই পারে, মানুষ ফেরেশতা নয়।
৭। জীবনসাথী যদি ভুল স্বীকার করে আপনার কাছে সরি বলে, তাকে ক্ষমা করে দিন মন থেকে। ভুলেও অপমান করবেন না। তাহলে সে আর কখনো ভুল স্বীকার করবে না। তাকে মুখ ফুটে বলুন “ইটস ওকে”।
৮। পুরনো কোন ভুলের জন্য কখনই স্বামী/ স্ত্রীকে কথা শোনাবেন না, খোঁচা দিবেন না। যেই ভুলের জন্য তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, সেই ভুলের কথা বলে তাকে অপমান করাটা খুবই নিচু মনের পরিচয়।
৯। বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলতে থাকুন। নারীরা সবসময় স্বামীর মুখ থেকে ভালোবাসা মিশ্রিত কথা শুনতে চায়, ভালোবাসা প্রকাশ করার বিষয়; লুকিয়ে রাখার বিষয় নয়।
১০। সারপ্রাইজ গিফট দেওয়ার অভ্যাস করুন। গিফট ছোট কিছুও হতে পারে, কিন্তু আপনি তার কথা ভেবে খুঁজে খুঁজে তার জন্য গিফট কিনে এনেছেন, এই ভাবনাই তার কাজে অনেক ভাল লাগার বিষয়।
নচ/চখ