chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মানুষ মরলো কী বাঁচলো সেটি সরকার দেখছে না: রিজভী

ডেস্ক নিউজ: দেশের মানুষ মরলো কী বাঁচলো সেটি সরকার দেখছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

মঙ্গলবার রাতে (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গরিব, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে সরকার টিকা নেবে। এই টিকায় মানুষ বাঁচবে কী বাঁচবে না সে ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত নয়। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, এক ধরনের কথা, অন্যদিকে সরকার সমর্থক ব্যবসায়ীরা বলছেন অন্য ধরনের কথা। কোথাও কোথাও এ করোনার টিকা নিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন, আবার কোথাও কোথাও মারাও গেছেন।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা এখানে যারা দাঁড়িয়ে আছি এদের মধ্যে যে কেউ যেকোনো সময় করোনায় আক্রান্ত হবো কিনা আমরা কেউ জানি না। গোটা বিশ্বে করোনা মহামারি চলছে, কত ডাক্তার কত সাধারণ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন, এর কোনো চিকিৎসা নেই। এজন্য যে টিকা নিয়ে আসা হয়েছে এটা এখনো শতকরা একশ ভাগ প্রমাণিত হয়নি। সরকারের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এদেশের মানুষকে নিরাপত্তা দেয়া, কিন্তু সরকারের এ ব্যাপারে কোনো দায়িত্ব নেই। দেশের মানুষ মরলো কী বাঁচলো সেটি তারা দেখছে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে কিন্তু অত্যন্ত সাবধানে আছেন। তিনি ঘর থেকে বের হন না, ওবায়দুল কাদের আরেকজন বড় মন্ত্রী, তিনিও ঘরের মধ্যেই আছেন। তারা কিন্তু খুব নিরাপদে অবস্থান করছেন। কিন্তু আমার আপনার কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। আমাদের কারও করোনা হলে যে চিকিৎসা পাবো সেটার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আপনি হাসপাতালে যাবেন, করোনার জন্য অক্সিজেন-ভেন্টিলেটর দরকার, কিন্তু আপনি-আমি পাব না।’

দেশে একটি ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু সরকারের বিরোধিতা করার কারণে ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, ছাত্রনেতা জনিসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। চারদিকে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য তো এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালের যুদ্ধে জীবন দেয়নি। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, এমনটির জন্য কি?

তিনি আরও বলেন, এখন কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারে না, দিনের ভোট রাতে হয়। ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর