chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘এখানে বাস থামিবে না’ অথচ থামছে

মেহেদী হাসান কামরুল :এখানে বাস থামিবে না’ অথচ সেখানেই বাস থামছে। ‘সিটি বাস স্টপেজ’- লেখা থাকলেও সেখানে কোনো গাড়ি থামছে না। এভাবেই প্রতিদিন গণপরিবহন চালকদের খেয়ালখুশিতে গাড়ি চলছে। আর যানজটের ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রাম নগরীর প্রায় সব কয়টি উল্লেখযোগ্য সড়ক মোড়ে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গাড়ি থামার নির্দেশনা দিয়ে সাইনবোর্ড গেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যানজট নিরসনে তাদের নির্দেশনা মোটেও অনুসরণ করছেন না সংশ্লিষ্ট চালকেরা। বরং তার উল্টোটাই করছেন তাঁরা ট্রাফিক বিভাগের লোকজনের উপস্থিতিতে। যেখানে থামতে বলা হচ্ছে সেখানে থামছেন না। যেখানে থামতে নিষেধ করা হয়েছে সেখানেই দীর্ঘ সময় গাড়ি থামিয়ে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করা হচ্ছে।

নিয়ম না মানার কারণে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরের মুরাদপুর, অক্সিজেন, দুই নাম্বার গেইট, নিউমার্কেট, দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ, কাঠগড়, সিমেন্ট ক্রসিং, ইপিজেড মোড়, কাস্টমস মোড়, নিমতলা, বারিক বিল্ডিং, বাদামতলি মোড় হয়ে বিমানবন্দরমুখী সড়ক ও পতেঙ্গামুখী সড়কে। বিশেষ করে পতেঙ্গা থেকে শুরু করে বন্দর, নিমতলা পর্যন্ত সড়কে কখনো কখনো এই যানজট ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছেড়ে যায়।

এ বিষয়ে ট্রাফিক উত্তর’র উপ-পুলিশ কমিশনার মোখলেসুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি চট্টলার খবরকে বলেন, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে গাড়ি দাঁড়ানেfর দৃশ্য আমি নিজেও খেয়াল করেছি। সড়কে দায়িত্বরত সার্জেন্টরা নিয়মিত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। মামলা দিচ্ছে। অনেক সময় দেখা যায় সাইনবোর্ডের সামনে দু-একটি গাড়ি দাঁড়ালো। পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দিলো। এই ফাঁকে আরো ৪/৫ টা গাড়ি পিছনে এসে দাঁড়িয়ে যায়। কতক্ষণ এভাবে তাড়ানো যায়? বলেন?।

লোকবলের সংকটের কথা জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, ব্যস্ততম সড়ক গুলোতে একজন সার্জেন্ট, চারজন কন্সটেবল দায়িত্ব পালন করেন। এখানে আরো বেশি লোকবল প্রয়োজন। কিন্তু আমরা সেটা নিশ্চিত করতে পারছি না। ফলে এই অল্পসংখ্যক লোকবল দিয়ে সেবা দিতে আমাদের হিমমিশম খেতে হয়।

১০ নম্বর রুটের নিয়মিত যাত্রী মাজেদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন অফিস যাওয়া-আসার পথে নিয়মিত দু’বার করে জ্যামে বসে থাকি। অধিকাংশ সময়ে পুলিশের নির্ধারিত সাইনবোর্ডের সামনে গাড়ি দাড়িয়ে থাকে।

অথচ পুলিশের পক্ষ থেকে এসব সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে রাস্তার মোড় এড়িয়ে একটু সামনে সুশৃঙ্খলভাবে দাড়াতে।কোন চালকই এটা মানছে না।আজ বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে বিকল্প রোড হয়ে রিকশায় রওয়ানা দিয়েছি। তাও রিকশা ভাড়া গুনতে হয়েছে ১২০ টাকা।

অথচ স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া মাত্র ৭০ টাকা। এক রকম বিরক্তির অভিব্যক্তি প্রকাশ করে এই যাত্রী আরো বলেন, একদিকে পকেটের বাড়তি টাকা খরচ করছি। অন্যদিকে সময় অপচয় হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কর্ম ঘণ্টা। কর দিয়েও আমরা নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি না।

এএমএস/চখ

 

এই বিভাগের আরও খবর