chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দুদকের মামলায় জামিন পেলেন মীর নাছিরের

ডেস্ক নিউজ : দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ

আজ রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এ মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৮ নভেম্বর মীর নাছির বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আত্মসমর্পণের পরে মীর নাছির আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) করেন। একইসঙ্গে জামিনও চান।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ ওই বছরের ৪ জুলাই মীর নাছিরকে আলাদা ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।

হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ।

রায়ে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালকে দুর্নীতির মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টে ওই আপিল দুটির পুনরায় শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন।

রায়ে হাইকোর্ট তাদের আপিল খারিজ করেন। ফলে তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির উদ্দিনের তিন বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকে। একইসঙ্গে সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) জন্য তার ছেলে মীর হেলাল উদ্দিনের তিন বছরের সাজা বহাল রইলো। পাশাপাশি তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর