আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে মাঠে ৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
আজ ১০ মার্চ মঙ্গলবার গতকাল প্রতীক বরাদ্দের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকগণ প্রচার-প্রচারণা শুরু করে।
এ উপলক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অভিযান পরিচালনা করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোবাইল টিম পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে আচরণবিধি পরিপন্থি দু’শতাধিক ব্যানার পোস্টার অপসারণ করা হয়। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতিনিধিদের আচরণ বিধি মেনে চলতে সতর্ক করা হয়।
এসময় ১২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো করে শোডাউন করা হলে তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ছত্রভঙ্গ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কর্তৃক কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের হোসেন সওদাগরকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁর কর্মী-সমর্থক কর্তৃক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো ধরণের গোলযোগ সৃষ্টি করা হবে না এবং আচরণ বিধি ভঙ্গ করা হবে না। তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
এছাড়া নগরীর টাইগার পাস মোড়ে নির্বাচন আচরণবিধি বহির্ভূতভাবে বড় পিক-আপ গাড়িতে করে মাইক যোগে শোডাউন করে প্রচারণার সময় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর কর্মীদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এসময় পিক আপ গাড়ির সজ্জায় ব্যবহৃত নির্বাচনী প্রতীক সম্বলিত বিশাল সাইজের মোটা পলিথিনের ব্যানার জব্দ করা হয়।
ওয়ার্ডসমূহে অভিযান পরিচালনা করেনঃ
. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় (১৬,২০,৩২ নং ওয়ার্ড)
. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ( ১২,২৩,২৪ নং ওয়ার্ড)
. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান (১৭,১৮, ১৯ নং ওয়ার্ড);
.নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা (৩৩,৩৪,৩৫ নং ওয়ার্ড)
. নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ( ৩৯,৪০,৪১ নং ওয়ার্ড)
.নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক ( ২৮,২৯ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড)
.নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক ( ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড)