chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায়: ডা. শাহাদাত

ডেস্ক নিউজ: বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) নগরীর ২৪নং উত্তর আগ্রাবাদ ও ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে নাগরিক সুবিধা বলতে কিছুই নেই। বর্ষা মৌসুমে অতি বৃষ্টি ও জোয়ারের কারণে চট্টগ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই দৃশ্য আমরা সবাই দেখেছি। বর্ষা মৌসুমে নগরজুড়ে ভয়াবহ জলজট সৃষ্টি হয়।

‘তখন মানুষকে বলতে শুনেছি চট্টগ্রাম অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামে আর বসবাস করা যাবে না। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি মেগাসিটি, স্মার্ট সিটি, নির্মল পরিবেশবান্ধব শহর নগরবাসীর প্রত্যাশা। আমি মেয়র নিবার্চিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে জলাবদ্ধতা নিরসন করবো।’

নগরীর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের বাদামতলী মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু হয়ে মৌলভীপাড়া, চৌমুহনী বাজার, হাজিপাড়া, পানওয়ালাপাড়া, আসকারাবাদ, মিয়াবাড়ী, মোল্লাপাড়া, মুহুরীপাড়া, রঙ্গিপাড়া, শান্তিবাগ, বসুন্ধরা হয়ে মুন্সিপাড়া ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের হালিশহর শাপলা ক্লাবস্থ জিলানী টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বেপারী পাড়া সিডিএ আবাসিক বুডির মাজার, বলির পাড়া, সিডিএ নং রোড, শিশু হাসপাতাল, শিশু পার্ক, আবিদের পাড়া হয়ে লাকি প্লাজার মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।

এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন জলবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে বলেন, নগর উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না ততদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে না।

‘নিবার্চিত হলে নালা—নর্দমা, খাল ও নদী খনন করে সার্বক্ষণিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবো। নগরবাসীর এসব প্রত্যাশা পূরণে নিজেকে আত্ননিয়োগ করবো। তাই সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর, বিটিসিএল, পিডিবি, সিজিডিএলসহ সেবা সংস্থাগুলো নিয়ে সম্মিলিত পরিকল্পনা করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান করার উদ্যোগ নিব।’

তিনি বলেন, নগরীতে অনেক এলাকায় এখনো গ্যাস, সুপেয় পানির সমস্যা রয়েছে। সেসব এলাকা চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেখানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা এবং গ্যাসের সংযোগ প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বর্তমানে মশার প্রজনন মৌসুমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

‘জনগণ মশার উপদ্রুপে এত বিরক্ত তা জীবন যাপনে কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিধনে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতায় মশার নিধনে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে পরিকল্পিত উন্নয়ন হচ্ছে না, যার যখন যেখানে ইচ্ছে সেটা নির্মাণ করছে। চট্টগ্রামকে আগামী ২০—৫০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এ শহরের উন্নয়ন করতে হবে। ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ এসব পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সেবা সংস্থার সমন্বয় করবো।

‘আগামী ৫০ বছর পর গিয়েও যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে। ব্যক্তি স্বার্থে চট্টগ্রামকে পিছিয়ে না নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের নেতাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ নিয়ে পরামর্শ কমিটি করে পরিকল্পিত, নান্দনিক, বাসযোগ্য নগরী হিসাবে গড়ে তুলবো।’

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন—মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি ও কাউন্সিল প্রার্থী মো. সেকান্দর, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী এস এম ফরিদুল আলম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী খালেদা বোরহান, নগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক প্রমুখ।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর