একসঙ্গে পর্দা কাঁপাবেন তারা
ডেস্ক নিউজ: ১৭ জানুয়ারি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ দেয়া হবে। সরকার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২৬টি বিভাগে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। আর সেই অনুষ্ঠানে জুটি হয়ে পর্দা কাঁপাবেন দুই প্রজন্মের তারকা সাইমন-মাহি এবং ফেরদৌস- অপু।
প্রতিবার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ পেলেও এবার করোনার কারণে সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিল্পীরা। তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিশ্চিত হওয়া গেছে, এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন অনলাইনে।
প্রতিবারের মতো আয়োজনকে জমকালো করতে ত্রুটি রাখছে না তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র বিভাগ ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি)। চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষদের অংশগ্রহণে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের মঞ্চ হয়ে উঠবে আলোকিত, বিনোদনের দারুণ এক প্রাঙ্গণ।
সেখানে থাকবে নানা রকম পরিবেশনা। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি গানের সঙ্গে পারফর্ম করবেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকারা।
চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনিও এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হ্যাঁ আমি আর মাহি পারফর্ম করবো জুটি হয়ে। রিহার্সালও শুরু হয়েছে। আশা করছি দেশের চলচ্চিত্রের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মন ভরাতে পারবো আমরা।’
এছাড়া একটি গানের সঙ্গে পারফর্ম করে মঞ্চ মাতাতে দেখা যাবে ‘নদীজন’ সিনেমা দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করা নায়িকা তমা মির্জাকে। তার সঙ্গে কে জুটি হবেন সেটি এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানা গেছে।
আগামী ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের আসর। এবার আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দা।
একনজরে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ বিজয়ীদের তালিকা:
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র: ন’ ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিলো অন্ধকারে
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: তানিম রহমান অংশু (ন’ ডরাই)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী: সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন’ ডরাই)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা: ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হওয়ায়)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী: নারগিস আক্তার (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা: জাহিদ হাসান (সাপলুডু)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান ইমন (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ গায়ক: মৃণাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো- শাটল ট্রেন)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা: মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয যাহরা ঐশী (মায়া, মায়ারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার: নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার- কালো মেঘের ভেলা) ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (চল হে বন্ধু- মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ সুরকার: প্লাবন কোরেশী (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: মাসুদ পথিক (মায়া-দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: মাহবুব উর রহমান (ন’ ডরাই)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: জুনায়েদ আহমেদ হালিম (মায়া- দ্য লস্ট মাদার)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বসু ও ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: সুমন কুমার সরকার (ন’ ডরাই)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (ন’ ডরাই)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা: খন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান: রাজু (মায়া- দ্য লস্ট মাদার।