chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ইডিইউতে ভর্তি উৎসব

ডেস্ক নিউজ : করোনা অতিমারীর স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে উচ্চশিক্ষা অর্জনে আগ্রহীরা। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) স্প্রিং ২০২১ সেমিস্টারের অ্যাডমিশন ফেয়ার বা ভর্তি মেলায় ভর্তিচ্ছুদের উপচে পড়া ভিড় সে কথাই জানান দিয়েছে।

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও অনলাইনে আয়োজিত দিনব্যাপী এ মেলা ভর্তির উৎসবে পরিণত হয়। আগামী ১২ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভর্তিচ্ছুরা ফরম সংগ্রহ করেন মেলায়।

সকাল ১১টায় উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। করোনার সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ইডিইউর সুরক্ষাকর্মীদের। পাশাপাশি প্রবেশমুখেই জীবাণুনাশক ছিটানো ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হয়।

স্পট এডমিশনে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা থাকায় অনেকেই এদিন ভর্তি ফরম নিয়ে ফেলেন আজই।

এছাড়া ইডিইউর শিক্ষা কার্যক্রম, অনলাইনের পাঠদান প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন।

ভর্তিচ্ছু মৈত্রী সেনগুপ্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ইডিইউ ক্যাম্পাসে এসেই মনটা ভরে গিয়েছে। এমন ছায়া সুনিবিড় কোলাহলমুক্ত ক্যাম্পাসই পারে পড়ালেখার উপযুক্ত পরিবেশ এবং একইসাথে করোনার প্রকোপে দীর্ঘদিনের গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তির স্বাদ দিতে। ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে উচ্চশিক্ষা কেমন হতে পারে তার একটা ধারনা পেয়েছি।

এখানে ভর্তির সুযোগ পেলে অত্যন্ত খুশি হবো, আমার অভিভাবকরাও নিশ্চিন্ত থাকবেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা রেবা সুলতানা এসেছিলেন মেয়েকে নিয়ে। তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকা মারফত করোনাকালে ইডিইউর অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে জানার পরই মেয়েকে এখানে পড়ানোর ইচ্ছে হয়। তাই ভর্তিমেলার কথা শুনেই চলে এসেছি।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, করোনাকালে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা ও এইসএসসি পরীক্ষা না হওয়ার ফলে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গন এক ক্রান্তিকালের মুখোমুখি। আমরা অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে গেলেও অনাগত শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস ক্লাস, ল্যাব সুবিধা উন্মুক্ত করার বিকল্প নেই।

অ্যাডমিশন ফেয়ারে অনলাইন সুবিধা থাকার পরও ভর্তিচ্ছুদের অধিকাংশেরই ক্যাম্পাসে আসা তাদের সেই আকুতিরই বার্তা বহন করে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্লাস করার ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণ করে ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার কথা সরকার বিবেচনা করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স ও সুযোগসুবিধা সম্পর্কে জানাতে এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি দীর্ঘ প্রক্রিয়া সহজতর করতে এই অ্যাডমিশন ফেয়ার আয়োজন। কিন্তু শুধুমাত্র পড়ালেখা এবং সার্টিফিকেট দেয়াতেই আমাদের কার্যক্রম শেষ না। ভর্তির পর চার থেকে পাঁচ বছরে একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষরূপে গড়ে তোলা, তার সমূহ সম্ভাবনা বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়াসহ প্রত্যেক বিভাগের ডিন, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও কর্মকর্তারা। বিজ্ঞপ্তি

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর