chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কৃষকদের সঙ্গে বসছেন মোদি আজ

ডেস্ক নিউজ: তিন কৃষি আইন নিয়ে ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের সঙ্গে আন্দোলনত কৃষকদের কয়েক দফা বৈঠকেও সমাধান মিলেনি। সংশোধন নয়, আইন প্রত্যাহারে নিজেদের অনড় অবস্থানে এখনও কৃষক নেতারা। তাই কোন উপায় না দেখে আবারও কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হচ্ছে মোদি সরকার।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর আনন্দবাজার।

এর আগের বৈঠকে ভারতের মন্ত্রীরা জানতে চেয়েছিলেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া আর কি কোনও বিকল্প নেই? কৃষক নেতারা জবাব দেন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিকল্প একটাই। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার। এই জবাবের পরে ৪০ জন কৃষক নেতা একসঙ্গে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানান।

এর আগে ষষ্ঠ রাউন্ডের বৈঠকে মোদি সরকারের মন্ত্রীরা কৃষক নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করেছিলেন। সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও কৃষক নেতারা সরকারের চা-পানি খাননি। অনেকটা নাখোশের মুখে এদিন চারটির মধ্যে দুটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছিল।

সরকারের আশা ছিল, এর বিনিময়ে কৃষক নেতারা তাদের প্রধান দুই দাবি, কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ফসলের দাম বা এমএসপি-র আইনি গ্যারান্টি নিয়ে নরম সুর নেবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আইন প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অনড় দেখে কৃষক নেতারা আরও সুর কঠোর অবস্থানে চলে যান।

এমনকি বৈঠকের বিরতিতে মন্ত্রীদের তারা বলে দেন, ‘আপনারা সরকারি খাবার খান। আমরা নিজেদের লঙ্গরের খাবার খাব।’ বিজ্ঞান ভবনের মেঝেতে বসে গুরুদ্বারের লঙ্গর থেকে আসা ডাল-রুটি খেয়েছেন কৃষক নেতারা। আন্দোলনে মৃত কৃষকদের স্মরণে বৈঠকের শুরুতে দু’মিনিট নীরবতা পালন করেন তারা। মন্ত্রী-আমলারাও তাতে যোগ দেন।

ফলে সরকার-কৃষক সংগঠনগুলোর সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকের পরেও সমাধানসূত্র বের হয়নি। ঠিক হয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি অষ্টম রাউন্ডের বৈঠক হবে। বৈঠকের পর কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘আমরা আজ এককাট্টা হয়ে সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছি, কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা দিল্লির সীমানা থেকে বাড়ি ফিরবেন না। আর বৈঠকে ৪০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা এলেও ৪৫০টির বেশি সংগঠন আন্দোলনে রয়েছে।’

নচ/ চখ

কৃষক নেতাদের অভিযোগ, হাজার হাজার কৃষক গত ৩৮ দিন ধরে শীত, বৃষ্টি মাথায় করে দিল্লির সীমানায় বসে থাকলেও সরকার জেদ ধরে রয়েছে। সিংঘু সীমানায় এদিন বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়েছে।

কৃষক নেতা রাজেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘প্রায় ৬০ জন কৃষক মারা গেছেন। মন্ত্রীরাও আজ শহিদ কৃষকদের জন্য নীরবতা পালন করেছেন।’

কৃষকদের দুর্দশা সত্ত্বেও সরকারের অনড় মনোভাবের নিন্দা জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গাঁন্ধী, প্রিয়ঙ্কা বঢরাসহ বিরোধী নেতানেত্রীরা।

এই বিভাগের আরও খবর