chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গাবাহী জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম হয়ে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দলটি নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে তোলা হয়। দ্বিতীয় দলে ৪২৭ পরিবারের ১৮০৪ জন সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।

নগরীর পতেঙ্গা বোটক্লাব জেটিতে নৌবাহিনীর ৭টি জাহাজ রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকাল নয়টায় প্রথম জাহাজ জেটি ছেড়েছে। এরপর একে একে অন্য জাহাজগুলো জেটি ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে সোমবার রাতে দুই দফায় ৩০টি বাসে চড়ে নগরীর পতেঙ্গার বিএফ শাহীন কলেজ মাঠে এসে পৌঁছান রোহিঙ্গারা। কলেজে রাতযাপনের পর সকালে তাদের বোট ক্লাবে জাহাজে তোলার কাজ শুরু হয়। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৩০টি বাস দুই ধাপে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে। প্রথম দফায় ১৩টি বাস এবং দ্বিতীয় দফায় ১৭টি বাস সোমবার রাতে পতেঙ্গার বিএফ শাহীন কলেজ মাঠে এসে পৌঁছায়।

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী সংলগ্ন দ্বীপ ভাসানচরে নেওয়া হয়। প্রথম দলকে পাঠানোর ২৪ দিন পর দ্বিতীয় দলকে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন পুরনো মিলে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন বসবাস করছেন কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে। প্রাথমিকভাবে সেখান থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয় সরকার।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে উদ্ধার করে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আশ্রয় দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ৪ ডিসেম্বর আরও এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। যেখানে রয়েছে- শিশুদের খেলার মাঠ, স্কুল, চিকিৎসা কেন্দ্র, দ্বীপে কর্মরত দেশি-বিদেশি সংস্থার লোকজনের জন্য থাকার আলাদা ভবনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
এছাড়া জোয়ার-জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ১৯ ফুট উঁচু বাঁধ এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের জন্য ভবন ও জেটি নির্মাণ করা।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর