আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন করোনা ভাইরাসের জন্য কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজের সময় ক্ষেপণ হবে না।
রোববার (৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে তিনি উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রধিকারমূলক প্রকল্প। এ প্রকল্পের কাজ তার নিজেস্ব গতিতে এগিয়ে চলছে। করোনাভাইরাসের জন্য এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজের কোন ধরণের সময় ক্ষেপণ হচ্ছে না। এ প্রকল্পে ২৯৩ জন চীনা নাগরিক কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে ৭২ জন ছুটিতে গেছেন, ইতোমধ্যে ৪৫ জন ফিরে এসেছেন এবং কোয়ারেন্টাইন শেষ করে ২৭ জন কাজে যোগদান করছেন। তিনি বলেন, নদী বোরিং এর কাজ ১২২৮ মিটার শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত মূল প্রকল্পে ৫১ শতাংশ কাজ শেষ এয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে টানেলটি আগামী ২০২২ সালে যান চলাচলের উপযোগি হবে বলে তিনি জানান।
মেট্রোরেলের বিষয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল নিয়ে মন্ত্রনালয়ে সম্ভাব্যতা যাছাইয়ের কাজ চলছে। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমার সহযোগিতা করার প্রয়োজন রয়েছে। চট্টগ্রামে নির্বাচন কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ বিষয়টা দেখবেন। সমস্যা মনে হলে তারাই সমাধান করে দিবেন। চট্টগ্রামের নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোন বিষয় চট্টগ্রামেই সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মুহম্মদ আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপপ্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো. হুরুন অর রশিদ চৌধুরী, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তইয়ব ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য ডা. শেখ সাইফুল আজমসহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।