chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব, দৃষ্টি এবার আনোয়ারা-গরম কাপড় বিক্রিতে তোড়জোড়

নিজস্ব প্রতিনিধি : শীত পড়ছে বেশ। চট্টগ্রাম শহরে হালকা অনুভব হলেও গ্রামাঞ্চলে শীতের ছোঁয়া ভালো ভাবেই প্রভাব ফেলছে। সারা দিন রোদের রাজত্ব শেষে বিকেল গড়াতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা।

রাত নামতেই চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। যা থাকছে পরদিন সকাল পর্যন্ত। নগর ছেড়ে তাই একটু গ্রামাঞ্চলে সরেজমিনে গিয়ে শীতের হালচাল চট্টলার খবরের পাঠককে জানাতে চেষ্টা করছে টিম চট্টলার প্রতিবেদক।

এবারের দৃষ্টি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলা সদর, চাতরী চৌমুহনী বাজার, বন্দর সেন্টার ও বটতলী বাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় পুরো উপজেলায় সন্ধ্যা নামতেই জেঁকে বসেছে শীত।

সন্ধ্যা নামতেই শীতে উপজেলার জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফাঁকা জন কোলাহল। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অধিকাংশ মানুষই সন্ধ্যার পর বাড়িতে ঢুকে গরম চায়ের ঢেকু তুলে গরম কম্বলের নিচে প্রবেশ করতে পারলেই যেন বাঁচে।

তবে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন নামি শপিংমল থেকে মৌসুমী ভাসমান গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বেশ উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

বলতে গেলে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীতের পোষাকের কদর বেড়েছে উপজেলায়। শীত মোকাবেলায় গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে বিভিন্ন শপিং মল ও ভাসমান দোকান গুলোতে।

ক্রেতাদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে নারী পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরী সব বয়সের মানুষের জন্য নানা রকম শীতবস্ত্রের পসরাও সাজিয়েছেন দোকানিরা। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদর, জ্যাকেট, ব্লেজার, মাফলার, টুপি কিংবা হাতমোজা সবই মিলছে এখানে। বিক্রিও চলছে দেদারসে।

মন্নান, হাশেম, হৃদয়, লোকমান ও কেশবসহ বেশ কয়েকজন দোকানির সাথে কথা হলে তারা জানায়, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই পুরোদমে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা। বিশেষ করে গত সপ্তাহ থেকে জমে উঠেছে খুচরা বিক্রির বাজারও। দিন যতই যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই এখন বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা।

বিভিন্ন শ্রেণীর কয়েকজন ক্রেতার সাথেও কথা হয় বিভিন্ন শপিং মল ও ভাসমান দোকানের সামনে। প্রায় সকলেরই একই অভিমত। বিগত কয়েক দিন ধরে পুরো মাত্রায় শীত পড়া শুরু হয়েছে।

তাই কেউ পরিবারের সদস্যদের জন্য, কেউ বন্ধুকে উপহার হিসেবে শীতের গরম কাপড় তুলে দিতে আবার কেউ কেউ গরীব দুঃখীদের মাঝে বিতরণের জন্য শীতের পোষাক কিনতে ভিড় করছে উপজেলার মার্কেটগুলোতে।

লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন হলেও গতবারের তুলনায় এবারের শীতের প্রায় সকল পোষাকেই বিক্রেতারা দামটা বেশি হাঁকছে বলে মন্তব্য করছে সকলেই। ফেরদৌসী রহমান নামের একজন ক্রেতা কিনলেন একটি জ্যাকেট ও দুটি হুডি গেঞ্জি।

তিনি বলেন, শীত চলে এসেছে। বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। তবে দাম বেশি হওয়ায় ইচ্ছে থাকা সর্ত্তেও পরিবারের সকলের জন্য শীতের কাপড় কেনা সম্ভব হলনা।

তিনি শীতের কাপড়ে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজড়দারি বাড়ানোর প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।

চখ/রাজীব প্রিন্স

এই বিভাগের আরও খবর