chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আত্মহত্যা করেন ম্যারাডোনা, দাবি সাবেক চিকিৎসকের

খেলা ডেস্ক: সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান দিয়েগো ম্যারাডোনা। গত ২৫ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি। এবার তার এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন তার সাবেক চিকিৎসক আলফ্রেডো কাহে।

১৯৭৭ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারের চিকিৎসক ছিলেন আলফ্রেডো। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, দিয়েগোর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক ধরনের আত্মহত্যা ছিল। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর থেকে দিয়েগো মানসিক অবসাদে ভুগছিল। সে নাকি ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করতো না। ওষুধ খেতে চাইত না। ঘরবন্দি হয়ে থাকত। কারও সঙ্গে দেখা করত না।

‘দিয়েগোর মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই ওর সাবেক বান্ধবী ভেরোনিকার সঙ্গে কথা হয়েছিল। শুনলাম দিয়েগো নাকি ভেরোনিকাকে বারবার বলত সে আর বাঁচতে চায় না। আমার কাছে দিয়েগোর মৃত্যু তাই আত্মহত্যাই।’

এখানেই থেমে থাকেননি আলফ্রেডো। পুরো বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়ে তিনি জানালেন, ২০০৭ সালেও নাকি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন ফুটবল কিংবদন্তি।

আলফ্রেডো বলেন, ২০০৭ সালে কিউবার রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত চলন্ত বাসে ধাক্কা মেরেছিল দিয়েগো। বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি। পরে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি কি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলে? জবাবে সে আমায় বলেছিল, হ্যাঁ আজ পারলাম না, তবে ভবিষ্যতে আবার চেষ্টা করব।

আলফ্রেডোর বিশ্বাস হচ্ছে না, তার প্রিয় দিয়েগো আর নেই। সে কারণে ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় তৈরি করলেন তিনি। বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই দিয়েগোর চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল। আমি বুঝতে পারছি না, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পরে কিভাবে দিয়েগোকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হল।’

‘ওকে হাসপাতালে রাখা উচিত ছিল। ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকলে দিয়েগো ঠিক মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারতো। এ থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায় লিওপোল্ডো চিকিৎসক হিসেবে কতটা অনভিজ্ঞ।’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর