chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় মন্তব্য করে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নিজের টাকায় সরকার বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেশের যেকোনো মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তে অবস্থান করুক না কেন গর্ব করে বলে, আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। আমরাও গর্ব অনুভব করি। আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাবো।

আজ রবিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে বন্দরের ১৪তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন হয় নিজস্ব অর্থায়নে। বাংলাদেশ নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করছে। পারমাণবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছি। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হচ্ছে। আগে দেশে মহাসড়ক ছিল না, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রো-রেল কত কিছু হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন হচ্ছে।

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে। করোনায়ও বন্দর সার্বক্ষণিক সচল ছিলো। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনার সংকটকালে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রেখেছেন। এটা চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আপনারা নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। আপনারা বন্দর সচল রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিশেষ করে এনবিআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি আমাদের দ্বিতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভা।

বিরাট সম্ভাবনার বাংলাদেশ নেতিবাচক সংবাদ চায় না মন্তব্য করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে, দেশের সুনাম মর্যাদা রক্ষার জন্য অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। আপনাদের লিখনী, সংবাদ পরিবেশন আমাদের প্রেরণা, সাহস জুগিয়েছে। আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশে একটা সময় ছিল নেতিবাচক সংবাদই বড় সংবাদ। বাংলাদেশ এখন সে জায়গায় নেই। এদেশের মানুষ, পাঠক নেতিবাচক সংবাদে বেশি দৃষ্টি দেয় না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চলনায় সভায় ১৩তম সভার সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ।

উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি একেএম আলতাফ হোসেন, নুরুল কাইয়ুম খান, বিজিএমইএর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

জুম অ্যাপে সভায় অংশ নেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর মো. হাতেম, রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রফিক আহমেদ প্রমুখ।

এসএএস/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর