chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আগামীর সভ্যতা হবে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক : চুয়েট ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, মহান বিজয় দিবস আমাদের গৌরবের ও অহংকারের দিন। আজ আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সারাদেশে কানেক্টিভিটির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২১০০ সাল ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিসি এসব কথা বলেন।

চুয়েট ভিসি আরও বলেন, ‘বিশ্ব এখন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে। বাংলাদেশেও করোনাকালে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, ওয়েবইনারে সেমিনার-কনফারেন্স আয়োজন, টেলিমেডিসিন সেবাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা এখন জনগণের দৌড়গোড়ার পৌঁছে গেছে। আগামীর সভ্যতা হবে জ্ঞাননির্ভর ও প্রযুক্তিভিত্তিক। তরুণ প্রজন্মকে এক্ষেত্রে দক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

চুয়েটে মুজিব বর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রণজিৎ কুমার সূত্রধরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব মো. জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে সকালে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এরপর চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর এবং চুয়েট পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে স্টাফ ওয়েলফেয়ার আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা এবং চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ তারেক হুদা ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ-এর কবর জেয়ারত করা হয়।

এসএএস/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর