chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণার আহ্বান জাতিসংঘের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জলবায়ু জরুরি অবস্থা জারির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পঞ্চম বার্ষিকীতে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিবর্তে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করায় ধনী দেশগুলোর সমালোচনা করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ এবং ফ্রান্স আয়োজিত সম্মেলনে ৭০টির বেশি দেশের নেতার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। গুতেরেস বলেন, ৩৮ টি দেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বিশ্বের বাকি দেশগুলোকে এ প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।

কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নেমে এলেই জরুরি অবস্থা শেষ হবে বলে বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। করোনা মোকাবিলায় ব্যয়কে আগামী প্রজন্মের ভাগের অর্থ খরচ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নতুন পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য নিয়ে যারা সম্মেলনে অংশ নিয়েছে তাদের সাধুবাদ জানান গুতেরেস। অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, রাশিয়া এবং মেক্সিকো সম্মেলনে অংশ নেয়নি। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নেয়া পদক্ষেপকে উচ্চাবিলাসী আখ্যা দিয়েছেন তারা।

এর আগে, শুক্রবার রাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস ইস্যুতে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।

দীর্ঘ বিতণ্ডার পর আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সম্মত হয়েছেন তারা।

ইউরোপিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট এবং সম্মেলনের আয়োজক চার্লস মিশেল টুইটারে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউরোপ নেতৃত্ব দেবে।

ইউরোপিয়ান কমিশন প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, ইউরোপ ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৫৫ শতাংশ নিঃসরণ হ্রাস করবে। এটি আমাদের ২০৫০ সালের জলবায়ু নিরপেক্ষতা অর্জনের পথে নিশ্চিতভাবে এগিয়ে দেবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিধি নিয়ে এদিন ইউরোপিয়ান নেতারা দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা ধরে বিতর্ক করেছেন। এ বিতর্কে পোল্যান্ডকে সমর্থন দেয় কয়লা নির্ভর মধ্য ইউরোপের অন্য দেশগুলো।

এর আগে নিঃসরণ হ্রাসের আহ্বান জানিয়ে গত সেপ্টেম্বরে চিঠি দিয়েছিলেন অ্যাপল, গুগলসহ ১৫০টির বেশি বৈশ্বিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরাও।

সেখানেও তারা অন্তত ৫৫ শতাংশ নিঃসরণ কমানোর জন্য নেতাদের প্রতি দাবি জানিয়েছিলেন। অবশ্য সম্মতির পর এখন দেশগুলো নিঃসরণ হ্রাসে যথাযথ উদ্যোগ নেয় কিনা সেটিই দেখার অপেক্ষা।

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর