chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশায় পরিবর্তন

২০ মিনিটে যাওয়া যাবে বিমানবন্দর ও পতেঙ্গা সৈকতে

ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নকশায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসড়কটি নগরকেন্দ্রের সঙ্গে বিমানবন্দর ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে যুক্ত হবে। ফলে নগরকেন্দ্র থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং পতেঙ্গা সৈকতে পৌঁছানো যাবে প্রায় ২০ মিনিটে।

জানা যায়, নকশা বদলের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আট কিলোমিটার অংশে কাজ শুরু করতে পারেনি সিডিএ। আগের নকশা অনুসরণ করা হলে বন্দরের পাঁচটি ফটক দিয়ে মালবাহী গাড়ি চলাচল ব্যাহত হতো। এ জন্য সড়কের পাশে জায়গা অধিগ্রহণ করে নকশায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, বন্দর ও সিডিএ প্রতিনিধিসহ একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশক্রমে ৩০ থেকে ৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে ওখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।

নিরাপত্তার কথা ভেবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলো। তারপরও নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। পরে আপত্তির গুরুত্ব বিবেচনায় নকশা বদলের উদ্যোগ নেয়া হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ডিজাইনটি যেরকম ছিল সেটি বন্দরের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ছিল। এটি আন্তর্জাতিক বন্দর, যেখানে আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন ফলো করতে হয়। অন্যথায় আমাদের আমদানী-রফতানি সমস্যায় পড়বে। যে কথাটি এই প্রকল্পটি গ্রহণ করার সময় বলতে পারতাম, সেটি অনেক দেরিতে বলতে হলো।

নকশায় পরিবর্তন আনার কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে তিনশ’ কোটি টাকা। বাড়বে এর বাস্তবায়নের সময়সীমাও। তবে এতে যাতায়াত সময় কমে আসবে। নগরকেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর ও সমুদ্র সৈকতে পৌঁছতে এখন প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই দূরত্বে পৌঁছানো যাবে ১৫/২০ মিনিটে।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর