chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বরিশালকে সহজে হারাল চট্টগ্রাম, কঠিন সমীকরণে তামিমরা

খেলা ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে টেবল টপার গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। তামিম ইকবালের দলকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে মিঠুনের দল।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তুলেছিল বরিশাল।

জবাবে সৌম্য সরকার ও সৈকত আলীর ব্যাটে ভর করে ৮ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুই ওপেনার সৌম্য ও সৈকত মিলেই ৯.৩ ওভারেই ৭৯ রান তুলে ফেলেন।

সৈকত ৩৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও ব্যক্তিগত ১০ রানে আফিফ হোসেনের ক্যাচ মিসে জীবন পাওয়া সৌম্য ঠিকই ফিফটি তুলে নেন। শুধু তাই নয়, দলকে জয় থেকে মাত্র ৩১ রান দূরত্বে রেখে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬২ রানের ঝলমলে ইনিংস।

৩৭ বল স্থায়ী ইনিংসটি তিনি ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন। সৌম্য বিদায় নেওয়ার পর স্কোর বোর্ডে আরও ১১ রান যুক্ত হতেই মোহাম্মদ মিঠুন (৩) বিদায় নেন। তবে বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন মাহমুদুল হাসান জনি ও মোসাদ্দেক হোসেন।

২৭ বলে ৩ চারে ৩১ রান নিয়ে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন জনি। ১১ বলে ১২ রান আসে আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে।

বল হাতে বরিশালের সুমন খান ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি উইকেট তুলে নেন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাইফ ও তামিম। সাইফকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন চট্টগ্রামের মোসাদ্দেক হোসেন। ড্রেসিং রুমের পথ ধরার আগে সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংস, যাতে চারের মার ছিল ৬টি, ছক্কা ২টি।

বরিশালের রান ১০০ ছোঁয়ার পর বিদায় নেন অধিনায়ক তামিমও। ৩৯ বলে ৫ চারে ৪৩ রান করা এই বাঁহাতি ওপেনারও মোসাদ্দেকের শিকার। নিজের বলেই ক্যাচ নেন মোসাদ্দেক। তামিমের বিদায়ের পর বরিশালের হয়ে বলার মতো রান এসেছে কেবল আফিফ হোসেনের ব্যাটে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১৬ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন চট্টগ্রামের মোসাদ্দেক, জিয়াউর রহমান এবং সঞ্জিত সাহা। এর মধ্যে মোসাদ্দেক ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন মাত্র ১৬ রান। সমান ওভারে ২২ রান খরচ করে বরিশালের রানের চাকা আটকে রাখায় বড় ভূমিকা রেখেছেন সঞ্জিতও।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সৌম্য সরকার।

এই নিয়ে ৭ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে ১২ পয়েন্ট হলো শীর্ষে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করা চট্টগ্রামের। আর হেরে খাদের কিনারে চলে গেছে বরিশাল। তবে ৭ ম্যাচে ২ জয় ও ৫ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে থাকা তামিমের দলের সামনে আরও একটি ম্যাচ আছে।

সমান ম্যাচে মিনিস্টার রাজশাহীরও পয়েন্ট একই। ফলে প্লে-অফ নিশ্চিতের জন্য নিজেদের শেষ ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দুই দলকেই। অর্থাৎ দুই দলের সামনেই প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে জয় ভিন্ন অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর