chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

গান আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, গানের জন্যই আমার বেঁচে থাকা (ভিডিওসহ)

ডেস্ক নিউজ: অল্প সময়ে গান দিয়ে অসংখ্য ভক্তের মন জয় করেছেন কণ্ঠশিল্পী পার্কি চাকমা। ২০০৫ সাল থেকে গানের সাথে একাকার হয়ে আছেন তিনি। চাকমা গানকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এ পর্যন্ত তিনি যমুনা টিভি, এসএ টিভি, বিটিভি চট্টগ্রাম কেদ্রেও গান করেছেন বহুবার।

এ গুণী শিল্পীর গানের জগতে আসা, গান নিয়ে ভবিষ্যতের ভাবনাসহ আরো নানা বিষয়ে গল্প করেছেন চট্টলা খবরের সঙ্গে।

চট্টলার খবর: কেমন আছেন?
পার্কি চাকমা: ভালো আছি।

চখ: বর্তমানে কি করছেন?
পার্কি চাকমা: বর্তমানে গান ছাড়া পড়ালেখা করছি রাঙামাটি সরকারি কলেজে। ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স শেষ বর্ষে পড়ছি। পাশাপাশি ছোটখাটো অনলাইনে ব্যবসা করছি । ছোট ছোট বাচ্চাদের গানও শিখাচ্ছি। এভাবেই চলে যাচ্ছে দিনগুলো।

চখ : পরিবার সম্পর্কে যদি একটু বলতে..
পার্কি চাকমা: পরিবারে আমরা চারজন বাবা-মা আর আমরা দুই বোন। আমার জন্মস্থান দীঘিনালায়। ২০০০ সালে আমরা রাঙামাটি শহরে এসেছি তখন থেকেই এখানে। বাবা এখানে অউই তে চাকরি করছেন। আমার পড়ালেখাও ছোট থেকে এইখানে।

চখ: গানের প্রতি ভালোবাসা কখন থেকে?
পার্কি চাকমা: গানের প্রতি ভালোবাসা আমার ছোট বেলা থেকেই কিন্তু বড় হয়ে শিল্পী হবো তা কখনো চিন্তা করিনি। ২০০৪ সাল থেকে আমার বান্ধবী সুপ্তা চাকমাকে গান শিখতে দেখেই গান শেখার ইচ্ছা জাগে। তারপর মা-বাবাকে বাসায় এসে গান শেখার ইচ্ছের কথা বলি। একটু সময় নিয়ে তাঁরাও আমার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়। ২০০৫ সালে বাবা আমাকে প্রথম হারমোনিয়াম কিনে দিলেন। আর সেই থেকেই গানের আরাধনা শুরু। এরপর গানের প্রতি ভালোবাসাটা আরও দিনদিন বাড়তে থাকে।

চখ: কার হাত ধরে এতদূর আসা?
পার্কি চাকমা: প্রথম গান শিখেছি, চাকমা সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী চিত্রা চাকমা দিদির কাছ থেকে, প্রায় ২ বছর। তারপর বর্ণী দেওয়ান দিদির কাছ থেকে আরো প্রায় ২ বছর । বিজ্ঞান্তর স্যারের কাছ থেকে অনেক সাপোর্ট পেয়েছি। এখন শ্রদ্ধেয় সুরেশ ত্রিপুরা স্যারের কাছ থেকে গান শিখছি, ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত । আমি আশা রাখি যত দিন সম্ভব হয় আমি ততদিন স্যারের কাছ থেকে গান শিখে যাব। কারণ আমি বিশ্বাস করি শেখার কোন শেষ নেই আর শেখার কোন বয়স নেই। আমি আমার সব গানের শিক্ষককেই সম্মান করি। এতদূর আসার পিছনে অবশ্যই তাদের অনেক বড় অবদান আছে।

চখ: গান পেশা না নেশা?
পার্কি চাকমা: গান আমার পেশা ও নেশা দু’টাই ভাবতে পারেন। এখন গানকে ছাড়া কোন কিছুই চিন্তা করতে পারিনা। এই গান আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, গানের জন্যই বেঁচে থাকা। গান যদি না শিখতাম হয়তো এতজনের ভালোবাসা পেতাম না, হয়তো এতজনের সাথে পরিচয়ও হতো না।

চখ: গান নিয়ে কি স্বপ্ন?
পার্কি চাকমা: আসলে যখন থেকেই গান শুরু করেছি তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিলো, আমি তিন পার্বত্য জেলার একজন শিল্পী হবো। আমাকে শিল্পী হিসেবে চিনবে সবাই। এর বেশি কিছু আশা করিনি। হয়তো ধীরে ধীরে সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হচ্ছে। দেখি কি হয় ভবিষ্যতে।

চখ: নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্য যদি কিছ বলতেন
পার্কি চাকমা: নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের বলবো, আত্মবিশ্বাস, চেষ্টা আর সাধনা করে যেতে হবে। সহজে সফলতা ধরার প্রবণতাকে বিদায় জানাতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। গানের মূল ধারার সাথে থাকতে হবে। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার পথে যেন না হাঁটে নতুনরা এটার অনুরোধ করবো।

চখ: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমাদের সময় দেওয়ার জন্য।
পার্কি চাকমা: আপনাদেরও ধন্যবাদ।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর