নিজস্ব প্রতিনিধি : সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম নগরেও করোনা মাহামারীর সংক্রমণ বেড়েছে। একই সাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে মশার উৎপাত। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ার আতংক বিরাজ করছে পুরো নগরজুড়ে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগেই প্রতিরোধের চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সেবকদের নিয়ে ময়লা আবর্জনা, কচুরিপানা পরিস্কার করতে নিজেই নেমে পড়েছেন খালে।
আজ শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে তিনি নগরীর পূর্ব বাকলিয়াস্থ বির্জাখালের বাকের আলী বলির বাড়ির সম্মুখ থেকে খালের ময়লা আবর্জনা পরস্কিার কার্যক্রম শুরু করেন।
এসময় চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান আহমেদ ইমু, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা নাঈম রনি ও স্থানীয়দের মধ্যে মো. মুছা সওদাগর, কফিল উদ্দীন, সফিউল আজম বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খালের আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম চলাকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, খাল-নালা হলো পানি চলাচলের পথ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, নগরবাসীদের একটি অংশ অসেচতনভাবে খালে-নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে।
পূর্ব বাকলিয়া বির্জাখালেও দেখা গেল গৃহস্থালী বর্জ্য, পঁচা পেয়াজ, ছেড়া টেবিল ক্লথ, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। এই খাল এখন কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনায় ও মশার প্রজনন আখড়ায় পরিনত হয়েছে।
তিনি বলেন, একদিকে করোনা মাহামারীর সংক্রমণ বেড়েছে। অপরদিকে যদি মশার উৎপাত ও কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
তাই নগরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনাদের চারপাশ, বাড়ির অঙ্গিনা, পুকুর জলাশয় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাল-নালা ডাস্টবিন নয়। এখানে গৃহস্থালী বর্জ্যসহ কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। যদি ফেলেন তাতে আপনাদের পরিবেশের ক্ষতি ও রোগ বালাইয়ে আপনাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
প্রশাসক বলেন, আমরা এর আগেও ইছহাকের পোলের পাশে খাল পরিস্কার করেছি। আজ এই বির্জা খাল পরিস্কার শুরু করলাম। এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। এরপর যদি কোন ময়লা আবর্জনা খাল-নালায় ফেলা হয় তাহলে আশপাশের বাসিন্দাদের জরিমানা করা হবে।
গরীব অসচ্ছল মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করলেন প্রশাসক : আবর্জনা পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রশাসক এলাকা হেঁটে ঘুরে দেখেন এবং গরীব অসচ্ছল মানুষের মাঝে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। পরে করোনা থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষায় তিনি বিশেষ মুনাজাতও করেন।
এসময় তিনি বলেন, এখন করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলছে, কাজেই প্রয়োজনীয় কাজে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন। কারণ কোভিড-১৯ ছোঁয়াছে। নিজে সুরক্ষা নিয়ে চলাচল না করলে এতে পরিবার ও প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি।
রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন : এদিকে পূর্ব বাকলিয়া থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চলামান নগরীর বাকলিয়ায় রাজাখালী ব্রিজের উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেন চসিক প্রশাসক।
সিটি কর্পোরেশনরে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায় এই ব্রিজ নির্মাণে অর্থায়ন করেছে জাইকা। ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
চখ/আর এস