chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজট-নাগরিক ভোগান্তি হলে ব্যবস্থা : সুজন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজটসহ কোন ধরণের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন চুল পরিমানও ছাড় দিবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন

তবে এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাগরিকা মোড় হতে কলকা মোড় (মাজার অংশ) পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং (পিসি রোড) রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সুজন বলেন, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে আমরা সড়ক বানাই। পরে গিয়ে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পার্কিংয়ের মাধ্যমে দখলে চলে গেছে। আর এ জন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আপনারা সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন। কর্পোরেশনও আপনাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করবে।

তিনি বলেন, জাইকার অর্থায়নে পোর্ট কানেক্টিং (পিসি রোড) রোডের কার্পেটিং কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স এর অধীনে চলমান এই কার্পোটিংয়ের কাজ শেষের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, চট্টগ্রামের লাইফলাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হওয়ায় আমি খুশি।

গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার অধিবাসীদের নিদারুন কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

তিনি বলেন, এই পিসি রোডের মোট ৬ কিলোমিটার এর মধ্যে এখন সাগরিকা হতে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্ছে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা হতে তাসফিয়া পর্যন্ত অংশেও কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।

প্রশাসক আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই সময়সীমার মধ্যে কাজশেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে প্রশাসক ঘোষণা দেন।

সেসময় তিনি নির্মাণকাজ চলাচলে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা অন্তর প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর