হাইড্রোজেনে চলবে ট্রেন
ডেস্ক নিউজ : আর ডিজেল নয়, এ বার হাইড্রোজেনে চলবে ট্রেন। বাঁচবে পরিবেশ। ২০২৪ সালে এই ধরনের ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে।
হাত মিলিয়েছে ডয়চে বান ও সিমেন্স মবিলিটি। জার্মানির এই দুই সংস্থা মিলে তৈরি করছে হাইড্রোজেন চালিত ফুয়েল সেল ট্রেন এবং একটি ফিলিং স্টেশন। জার্মানিতে ডিজেল ট্রেন ইঞ্জিনকে বিদায় জানিয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে নতুন ইঞ্জিন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ডয়চে ভেলে জানায়, ডয়চে বান ও সিমেন্স মোবিলিটি নামে জার্মানির দুই সংস্থা মিলে তৈরি করছে হাইড্রোজেন চালিত ফুয়েল সেল ট্রেন এবং একটি ফিলিং স্টেশন।
হাইড্রোজেন চালিত এ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। আর ডয়চে বানের হিসাব, বছরে ৩৩০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড দূষণের হাত থেকে বাঁচা যাবে। ফলে পরিবেশ রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে এই নতুন প্রযুক্তি।
জার্মানির সরকারি রেল কোম্পানি ডয়চে বান ও সিমেন্স মোবিলিটি মিলে তৈরি করছে এই হাইড্রোজেন ট্রেন সেট। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের প্রতিক্রিয়ায় তৈরি হবে বিদ্যুৎ, যা দিয়ে চলবে ট্রেন । এর বাই প্রোডাক্ট হবে পানি।
তিন বছরের মধ্যে এই ট্রেনের ট্রায়াল রান হবে। তার জন্য ডয়চে বান তাদের একটি মেইনটেন্যান্স শপকে হাইড্রোজেন গ্যাস স্টেশনে রূপান্তরিত করছে।
সাধারণ ব্যাটারিকে রিচার্জ করেই ট্রেন চলানো সম্ভব হবে। ডয়চে বানের বোর্ড সদস্য সাবিন জাসকি বলেন, ‘এ ট্রেন হবে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব।’
জার্মানিতে প্রায় ৪০ শতাংশ ট্রেন ডিজেলে চলে। কিন্তু ২০৫০ সালের মধ্যে বা সম্ভব হলে তারও আগে রেল কোম্পানি কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করতে দায়বদ্ধ।
জাসকি বলেন, ‘আমরা আর পেট্রোল-জাত জ্বালানি ব্যবহার করব ন। সে জন্যই আমরা ঠিক করেছি, ডিজেলে কোনো ট্রেন চলবে না।’
২০৩৮ সালের মধ্যে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ডয়চে বানের। কারণ, ওই সময়ের মধ্যে দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
সরকারও হাইড্রোজেন ভিত্তিক জ্বালানি তৈরির জন্য ৯০০ কোটি ইউরো দিচ্ছে। এখন অবশ্য গ্যাস ও কয়লা থেকেই হাইড্রোজেন নেয়া হয়।
কিন্তু আগামী দিনে পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেনের দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন পরিবহণ ও অন্য ক্ষেত্রে পেট্রোল, ডিজেল বা পেট্রোল-জাত পদার্থের ব্যবহারও অনেক কমবে।
এএমএস/চখ