chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ম্যারাডোনাকে নিয়ে ৫ সিনেমা

ডেস্ক নিউজ: ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা ৬০ বছর বয়সে মারা গেছেন।  কিংবদন্তি ফুটবলার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা সরকার।  তাঁকে হারিয়ে কাঁদছে গোটা বিশ্ব। তবে তিনি বেঁচে থাকবেন অমর হয়ে । আসুন জেনে নিই , তাকে নিয়ে যে সিনেমা বানানো হয়েছিল..

ম্যারাডোনা, দ্য গোল্ডেন কিড
আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তিকে নিয়ে সর্বপ্রথম নির্মিত হয় ‘ম্যারাডোনা, দ্য গোল্ডেন কিড’ নামের একটি ডকুমেন্টারি। এক ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের এ তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে না জানা ম্যারাডোনার অনেক কিছু।  এটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৬ সালে।  ডকুমেন্টারিটি পরিচালনা করেন জিন-ক্রিস্টোফ রোজ।

আমান্ডো আ ম্যারাডোনা
আর্জেন্টাইন চলচ্চিত্রকার হাভিয়ের ভাসকেস পরিচালিত ‘লাভিং ম্যারাডোনা’ নামে একটি সিনেমা ২০০৭ সালে মুক্তি পোয়।  এর মূল শিরোনাম Amando a Maradona।  এক ঘণ্টা চার মিনিটের এ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন জাভিয়ের মার্টিন ওয়াজকেজ। এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবলার ম্যারাডোনা কীভাবে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে গেলেন।  কীভাবে কিউবায় তিনি দারুণ এক প্রেরণার নাম হয়ে উঠলেন।

ম্যারাডোনা, দ্য হ্যান্ড অব গড
এটি ম্যারাডোনার বায়োপিক।  কিংবদন্তির জীবনের নানা গল্প নিয়ে এই সিনেমাটি তৈরি করেছেন ইতালিয়ান চলচ্চিত্রকার মার্কো রিসি।  ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ইতালিয়ান সিনেমাটির মূল নাম ‘Maradona – La mano de Dios’।  আর আন্তর্জাতিক বাজারে ছবিটি ‘ম্যারাডোনা, দ্য হ্যান্ড অব গড’ নামে পরিচিত।

এখানে আর্জেন্টাইন ফুটবলারের পুরো জীবন উঠে এসেছে ক্যামেরার শক্তিতে। ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের এই সিনেমায় শিশু ম্যারাডোনা চরিত্রে গঞ্জালো আলার্কন, কৈশোর চরিত্রে আবেল আয়ালা ও যুবক রূপে মার্কো লিওনার্দি অভিনয় করেছেন।  ম্যারাডোনার স্ত্রী ক্লাওদিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন আর্জেন্টাইন অভিনেত্রী জুলিয়েতা দিয়াজ। ছবিটি খুবই প্রশংসিত ফুটবল বিশ্বে।

ম্যারাডোনা বাই কুস্তুরিৎসা
‘হ্যান্ড অব দ্য গড’-এর মালিক ম্যারাডোনাকে নিয়ে যত নির্মাণ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসিত ‘ম্যারাডোনা বাই কুস্তুরিৎসা’।  এই ডকুমেন্টারিটি দুইবার কান ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালের সর্বোচ্চ পদক পাম দি’অরজয়ী সার্বিয়ান চলচ্চিত্রকার এমির কুস্তুরিৎসা নির্মাণ করেছেন। এক ঘণ্টা ৩৬ মিনিটের তথ্যচিত্রটি প্রিমিয়ার হয়েছিলো ২০০৮ সালের কান ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যালে।

ব্যক্তিজীবনের বিতর্ককে পেরিয়ে ম্যারাডোনাকে একজন দার্শনিক ও চিন্তাবিদ হিসেবে হাজির করেছেন পরিচালক।  তার বৈপ্লবিক ভাবনাগুলোও এখানে ফুটে উঠেছে যা খুব সহজেই দর্শকের মনে দাগ কেটে যায়। ম্যারাডোনা ভক্তদের উচিত হবে না দেখে থাকলে এই ডকুমেন্টারিটি আজই দেখে ফেলা।

দিয়াগো ম্যারাডোনা
১৯৮৪ সালে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা থেকে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে নাম লেখান ম্যারাডোনা।  পরের গল্পটা সবার জানা।  নাপোলির ইতিহাস বদলে দেয়া সুপারস্টার ম্যারাডোনা।  আজও তার সম্মানে দলটি ১০ নম্বর জার্সি তুলে রেখেছে।  সেই নাপোলিতে নাম লেখানো এবং অখ্যাত এক ক্লাবকে সিরি-এ ও উয়েফা কাপ (বর্তমানে চ্যাম্পিয়নস লীগ) জেতানোর দুর্দান্ত গল্পকে ঘিরে তৈরি ডকুমেন্টারি ‘দিয়াগো ম্যারাডোনা’।

এটি নির্মাণ করেছেন ব্রিটিশ চলচ্চিত্রকার আসিফ কাপাডিয়া।  ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই তথ্যচিত্রটির দৈর্ঘ্য ১৩০ মিনিট।  এখানে দেখা যাবে ম্যারাডোনার কিছু বিরল ফুটেজ।  এটিও কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়েছে।

নচ/চখ