ফের ভারতে ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ, বেশিরভাগই চীনের
ডেস্ক নিউজ : ৫৯টি অ্যাপের পর দেশের ‘সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা’ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় আবারও ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। দ্বিতীয় দফায় যে অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ঘটনাচক্রে তার অধিকাংশই ডেটিং সংক্রান্ত চীনা অ্যাপ।
সাম্প্রতিককালে ডেটিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বেড়েছে। তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও এই অ্যাপের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। সেই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার তোপের মুখে পড়ে কি না, তা-ও দেখার।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় এই মোবাইল অ্যাপগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জানানো হয়েছে। এই মোবাইল অ্যাপগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’।
অ্যাপ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য মোবাইল অ্যাপগুলোর মতো ডেটিং অ্যাপ এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। লাদাখে ভারতের সঙ্গে চীনের গোলমালের ফলে এর আগে বহু চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন তাই বিভিন্ন ‘জনপ্রিয়’ ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘চরবৃত্তির’ নতুন পন্থা নিয়েছে চীন। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে সহজে লোকজনকে ফাঁদে ফেলা সম্ভব বলেও অভিমত তাদের।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৯ জুন ৫৯টি এবং ২ সেপ্টেম্বর মোট ১১৮টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেগুলো সবই চীনা অ্যাপ। তখনও এক বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার খাতিরে এবং দেশের জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য ওই মোবাইল অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
সেই নিষিদ্ধকরণের তালিকায় টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, উইচ্যাট-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলো ছিল। একই সময় অভিযোগ উঠেছিল, ওই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নজরদারি চালাচ্ছিল চীন। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পরে সেগুলো নিষিদ্ধ করা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার আরও ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হলো।
এসএএস/এএমএস