পায়ের যত্ন নিন
ডেস্ক নিউজ: শরীরের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ পা। অনেকেই একজনকে দেখার সময় সর্বপ্রথম পায়ের দিকে নজর দেয়। তাই পায়ের যত্নে কোন আপোষ নয়।
অলিভ অয়েল
জলপাইয়ের গুণের অভাব নেই! কালো জলপাইয়ের তেলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড থাকে, যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই বাইরে থেকে আসার পর কিংবা সারা দিন বাসার কাজ করে গোসল করে পায়ে অলিভ অয়েল লাগান। খুব বেশি না লাগিয়ে অল্প করে লাগান।
ভ্যাসেলিন
শীত ছাড়াও অনেকের পায়ের ত্বক ফেটে যায়। বিশেষ করে যাঁরা পানির কাজ বেশি করেন কিংবা সারা দিন বাইরে থাকেন। তাই গোসল করে পায়ে ভ্যাসেলিন লাগিয়ে নিন। তবে ভালো মানের ভ্যাসেলিন বাবহার করতে হবে।
স্ক্রাবিং
মিনিট দশেক খুব হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর খুব ভালোভাবে পা মুছে নিয়ে এই স্ক্রাব ব্যবহার করুন। মোটা দানার চিনি, লেবুর রস, খাঁটি নারকেল তেল পরিমাণমতো মিশিয়ে দুই পায়ে লাগিয়ে নিন। চিনি যতক্ষণ না গলে যাচ্ছে ততক্ষণ হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
প্যাক
বেসনের সঙ্গে মধু, হলুদ বাটা, অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে পায়ে ও গোড়ালিতে লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা হাতে ঘষে তুলে ফেলুন।
বাইরে বের হলে
বাইরে যাওয়ার আগে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে চান না। কারণ তাতে সহজেই ময়লা আটকে যায়। এ অভ্যাসটি একেবারেই ঠিক নয়। ধুলা-ময়লা সরাসরি ত্বকে না লেগে পেট্রোলিয়াম জেলির স্তরের ওপর আটকালেই বরং তা পরিষ্কার করা সহজ হয়। রোদে বেরোনোর আগে ইচ্ছা হলে পায়ের ত্বকে সানস্ক্রিনসামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। আবার তা না করলেও খুব একটা ক্ষতি নেই। সময়-সুযোগ পেলে বাইরে কোথাও পা ধুয়ে নিন। চাইলে ওয়েট টিস্যুও ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার সুযোগ পাবেন মনে করলে এমন জুতা পরেই বেরোনো ভালো, যা ভিজলেও কোনো সমস্যা না হয়।
পায়ের ত্বক খুব সংবেদনশীল হলে পা-ঢাকা জুতা পরাই ভালো।
পাথর দিয়ে ঘষুন
সপ্তাহে এক কিংবা দুদিন পাথর দিয়ে পায়ের তলা ঘষুন। এতে তলায় থাকা ময়লা বের হয়ে যাবে। তবে প্রতিদিন পাথর কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
পরামর্শ
অনেকে পায়ের চামড়া টেনে তুলতে চান, যা একদম উচিত নয়। কারণ একবার পায়ের চামড়া টেনে তুললে সেখান থেকে বারবার চামড়া ওঠার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে এসব পদ্ধতি মেনে চললেই পা ফাটা সমস্যা দূর করা সম্ভব। তবে অনেক সময় ত্বকে আরো জটিল ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। তাই চামড়ায় কোনো ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দরকার হলে চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি পরামর্শ নেওয়াই ভালো।
সূত্র: কালের কন্ঠ