chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হার্টে রিং পরানো হয়েছে রিজভীর

ডেস্ক নিউজ : হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার পর আবারো এনজিওগ্রাম করতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে এনজিওগ্রামে এখনো কিছু সমস্যা ধরা পড়ায় তার হার্টে রিং পড়িয়েছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. আবদুর জাহেদ ও ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটুর অংশগ্রহণে এ অপারেশন করা হয়।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত রিজভীর হার্টের মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন ইমেজিং (এমপিআই) টেস্ট করা হয়। সে পরীক্ষায় কিছু সমস্যা ধরা পড়ায় আবারও তার এনজিওগ্রাম করা হয়। এরপর  চিকিৎসকরা রিজভীর হার্টে রিং পরানোর সিদ্ধান্ত নেন।

রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হার্টের ভায়াবিলিটি (কার্যক্ষমতা) দেখার পর পরবর্তী চিকিৎসা করতে আজ আবারও এনজিওগ্রাম করলে হার্টের ব্লক থাকায় একটি রিং পরানো হয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালে তার হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এ সময় তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়।

এরপর ২৭ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর আদাবরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রিজভী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও পরে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর