বিএনপি সন্ত্রাসী আমদানি করেছে : ওবায়দুল কাদের
ডেস্ক নিউজ : বিএনপি দেশের রাজনীতিতে নৈরাজ্য, হত্যা আর সন্ত্রাসের আমদানি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই এসবের চর্চা করেই রাজনীতিতে টিকে আছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) তার সরকারি বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জন্মলগ্ন থেকে বিএনপি মানুষের অধিকার হরণের রাজনীতি করে আসছে, তাই তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার কথা জনগণ বিশ্বাস করে না।‘দেশে আগ্রাসী শক্তি আঘাত হানছে’-বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগ্রাসী শক্তি বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন? বিএনপির রাজনীতিতে হতাশা আর ব্যর্থতা এতটাই ভর করেছে যে, এখন তারা আর মিথ্যাচার ছাড়া স্বাভাবিক কিছু বলতে পারে না।
‘দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন’মির্জা ফখরুলের এই মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের স্বাধীনতা নয়, অপরাজনীতির জন্য বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিপন্ন।
তিনি বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে যারা রাজনীতি করেন, তারা স্বাধীনতা রক্ষা করবে কিভাবে?
তিনি আরো বলেন, বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে, দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির অপচেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানকারী লাখ লাখ প্রবাসী কর্মীর কর্মসংস্থানকেও অস্থিতিশীল করে তুলছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আগুনসন্ত্রাসসহ নৈরাজ্যের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যারা স্পটে গিয়ে বাসে আগুন দিয়েছে, তাদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা ঘটনাস্থলে ছিল না তাদের গ্রেফতার ব্যক্তিদের তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রচনা না করে তৈরি করেছে বিভেদ আর অবিশ্বাসের দেয়াল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি নিজের অস্তিত্বের মতো। যে দলের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা এসেছে, তাদের হাতেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা এবং পূর্বাভাস নিয়ে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার আহ্বান জানান। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে জনগণের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান করারও নির্দেশ দেন।
এএমএস/চখ