chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনা সংক্রমণের এক বছর পূর্ণ

ডেস্ক নিউজ:  ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে শুরু হয় করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ। দুমড়ে মুচড়ে গেছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা। সমান প্রভাব পড়েছে সমাজের সকল স্তরের মানুষের দৈনিক জীবনযাপনের পাশাপাশি শিক্ষার ওপরেও।

ঠিক এক বছর আগে এই তারিখেই চীনের উহানে হানা দিয়েছিল করোনা। ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটি ছিল এক। আজ সারা পৃথিবীতে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা এস দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ কোটিতে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ লক্ষরেও বেশি মানুষের। বর্তমান সময়েও কাবু করা যায়নি ‘ করোনাসুর’-কে। ২০১৯ এর ১৭ নভেম্বর মধ্যে পঞ্চাশের এক ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেলেও ২০২০-র ১ জানুয়ারিতে গোটা চীনে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যাটি দাঁড়ায় গিয়ে ৩৮১তে। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি উহানে লকডাউন জারি করা হয়।

এরপর রীতিমত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা। উহানে শুরু হয়ে যায় মৃত্যুমিছিল। চীনের তরফে একাধিক প্রদেশে লকডাউন জারি করা হলেও ততদিনে দেরি হয়ে গেছে। বিশ্বে অন্যান্য প্রান্তেও ততদিনে বীরদর্পে হানা দেওয়া শুরু করেছে করোনা। ইউরোপ থেকে শুরু করে এশিয়া,আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে করোনা। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে ইটালি,ফ্রান্স,জার্মানি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় করোনার দৌলতে। এককথায় এই তিনটি দেশ হয়ে ওঠে করোনার ‘ হটস্পট ‘। এরপর যত সময় এগিয়েছে করোনার থাবার আঘাত তত বেড়েছে। বর্তমানে সংক্রমণ ও করোনার কারণে মৃত্যুর নিরিখে আমেরিকা বিশ্বের শীর্ষে। সংক্রমণের নিরিখে ভারত দ্বিতীয়। তবে উল্লেখ্য চীন কিন্তু সামলে উঠেছে। করোনাকে কাবু করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের নিরিখে ৬০ নম্বরে ও মৃত্যুর নিরিখে ৩৬ নম্বর স্থানে রয়েছে চীন।

এইমুহূর্তে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা করোনার মোকাবিলা করার জন্য টিকা আবিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত। বেশ কিছু দেশ এই প্রতিষেধক তৈরির প্রায় শেষ পর্যায় রয়েছে বলেও দাবি করেছে।

নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর