chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আত্মহত্যা করা ক্রিকেটার পরিবারকে মুশফিকের সমবেদনা

খেলাধুলা ডেস্ক : সজীবের আত্মহত্যায় পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট নড়েচড়ে বসেছে। আবেগের বশে সম্ভাবনাময় এই ক্রিকেটারের আত্মহননের সিদ্ধান্তকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

ক্রিকেটের বাইরেও জীবন আছে আর সেটি অনেক বড়। মুশফিকুর রহিম এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। তরুণ ক্রিকেটার সজীবুল ইসলামের আত্মহত্যা তাঁকে তাড়া করছে। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সামান্য ব্যর্থতার হতাশা থেকে আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারেন কেউ।

সজীবের স্মরণে মুশফিক নিজের ফেসবুকে লেখেন, আমরা সবাই-ই ক্রিকেটকে ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখতে হবে ক্রিকেটের বাইরেও একটা জীবন আছে। আমাদের দেশের একজন তরুণ ক্রিকেটারের আত্মহত্যার সংবাদে খুব কষ্ট পেয়েছি। ব্যাপার যাই-ই হোক, জীবননাশের মতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবারই উচিত পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করা। আত্মহনন কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না।

সজীবের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মুশফিক লেখেন, ‘আমাদের সবার জন্যই আল্লাহ সবকিছু ঠিক করে রেখেছেন। আমাদের মহান আল্লাহর সেই পরিকল্পনায় অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে। আমি সজীবের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন…।’

আত্মহত্যা করা ক্রিকেটার পরিবারকে মুশফিকের সমবেদনা

সম্প্রতি সজীব বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অংশগ্রহণের জন্য সব পরীক্ষাও দিয়েছিলেন তিনি। গত ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েন।

এক পর্যায়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। সজীব সবার অজান্তে শনিবার গভীর রাতে নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রবিবার সকালে তার পরিবারের সদস্যরা সজীবকে ডাকতে থাকেন। একপর্যায়ে তার কোনো শব্দ না পেলে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। পরে ঝুলন্ত অবস্থায় রশি কেটে সজীবের মরদেহ উদ্ধার করেন।

সজীব রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের মুরসেদ আলীর ছেলে। সজীবের বড় ভাই তশিকুল ইসলাম জানান, তার ভাই সজীবের ছোট থেকে ক্রিকেট খেলার প্রতি ছিল অনেক আগ্রহ। সেই খেলার জন্য বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে। একসময় সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে ভর্তি হয় রাজশাহী কাটাখালী বাংলা ট্র্যাক নামে ক্রিকেট একাডেমীতে।

এরপর থেকে শুরু হয় তার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এক-এক করে সে জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭ ও ১৯ দলে খেলেছে। সে অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে শ্রীলংকার মাটিতে বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করে সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৫ রান সংগ্রহ করে- সে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিল।

এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর