chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শীতের সবজির দাম কমছেই না

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমেনি দাম। এতদিন সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল এসব পণ্য। এছাড়া বাজারভেদে একই পণ্যের দামের ব্যবধানও বিস্তর। সরবরাহ বাড়ার পরও দাম না কমায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। এজন্য তারা বাজার পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার দুর্বলতাকে দায়ী করছেন।

আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেক ৯০ টাকা দরে। শিমের কেজি ১০০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়স ও গাজর ৭০-৮০, বেগুন ৭০-৮০, শসা ৬০-৭০, মুলা ৭০থেকে ৮০, কাঁকরোল ৬০, করলা ৮০, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০, ঝিঙে ৬০, পেঁপে ৩০-৪০ ও পটল ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া টমেটো ১০০ টাকা, ১৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

বাজারে প্রতি আঁটি লালশাক, ডাঁটাশাক বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে। পালং শাকের আঁটি ১৫ ও মিষ্টি কুমড়া শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। প্রতি আঁটি লাউশাক বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা দরে। বাজারে প্রতিটি লাউ ৬০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও চাল কুমড়া কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির পর গত ২২ নভেম্বর থেকে খুচরায় দাম সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে এই দামে আলু বিক্রি করছেন না বিক্রেতারা। বাজারে প্রতিকেজি আলু খুচরায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তি দামের জন্য আড়তদারদের দুষছেন খুচরা দোকানিরা। আর আড়তদাররা বলছেন, হিমাগার থেকে বাড়তি দামে বিক্রি করায় তারাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।

কাজীর দেউড়ি বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে ঠিকই। কিন্তু পাইকারিতে সেভাবে দাম কমেনি। এজন্য আমরাও কমাতে পারছি না। তবে আর কিছু দিন গেলে হয়তো দাম আরও কমবে।

বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ ও আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। চীনের রসুন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি চিকন মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ ও মোটা মসুর ডাল ১০০ টাকা। মুগডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। প্রতি লিটার সয়াবিন তৈল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।

বাজারে মাছের দামও ঊর্ধ্বমুখী। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বাজারে ইলিশ কম। চকবাজার কাঁচাবাজারে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের কেজিপ্রতি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। রুই-কাতল মানভেদে কেজি ২০০-৩০০ টাকায় ও প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৩০-১৬০, পাঙ্গাশ ১২০-১৪০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাবা, শিং ৫০০, চিংড়ি আকারভেদে ৫০০থেকে ৬০০দরে বিক্রি হয়েছে। লইট্ট্যা মাছ ১২০ টাকা, কোরাল মানভেদে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোপা মাছ ২৫০ টাকা, রূপচান্দা ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ছাগলের মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালী জাতের মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম ৯০ থেকে ১০০ টাকায় প্রতিডজন বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর সাবএরিয়া বাজারের ক্রেতা হায়দার আলী বলেন, দিনমজুরের কাজ করে যা পায় এর বেশিরভাগ সবজি কিনতে চলে যায়। আলু ভর্তা খেতেও এখন অনেক টাকা লাগে। মাছ-মাংস সেই কবে ছেড়ে দিয়েছি। এখন সবজি খাওয়াও কষ্টের হয়ে গেছে।
এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর